ওরা পুড়িয়েছে কাগুজে কোরান
তোমরা যে নিলে হাফেজের প্রাণ!!
একই দিনে দুইটা ঘটনার অবতারণা দেখলাম এবং প্রতিক্রিয়াও দেখছি। একদিকে বাড্ডাতে বিমল নামক এক হিন্দু কর্তৃক কোরান পোড়ানো এবং অপরদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক কোরানে হাফেজের মৃত্যু। বিষয়টা নিয়ে ভাবতে গেলেই খটকা লাগে। দেশ বলতে যদি শুধু মানচিত্র বোঝায় তবে আমার মধ্যে খুব একটা দেশবোধ আছে বলে আমি নিজেই মনে করি না। বরং এর থেকে ঢের মেশি মানুষকে নিয়ে চিন্তা করতে ভালো লাগে।
মানুষ কেমন আছে? এই প্রশ্নটা যদি এই মুহুর্তে যে কারও কাছে করা হয় এবং সে যদি সকল স্বার্থ চিন্তার বাইরে থেকে উত্তর দিতে পারে তবে উত্তরটা না বোধক হবে বলেই মনে করি। আমরা এমন কেনো হয়ে যাচ্ছি!! পরষ্পরের রক্তপান করাটা আমাদের লক্ষ্য না হলেও আমরা পরোক্ষভাবে সেটাই করছি। যারা ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবেপেতে চান তাদের যেমন ভাবতে হবে তারা যা করছে তা কোরান ও সুন্নার আলোকে করছে কিনা ঠিক তেমনই যারা অন্য মতের অনুসারী তাদেরকেও ভাবতে হবে, এভাবে তারা কতদূর যেতে চায়।
আমরা কোন পথে যাবো?
তোমার কাছে গেলাম আমি চাইতে বিচার
উল্টো তুমি করলে আমায় অপরাধী
পরিস্থিতি যখন এমন, তখন সাধারন জনগন কার কাছে বিচার চাবে? পুলিশ যখন ব্যবসা করে, চান্দা তোলে তখন কোন আইনের ভরশায় বসে থাকবে মানুষ। অঘটন ঘটতেই পারে আর এর জন্য তাদের দায়ী করাও উচিত না। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না টাইপের ডাইলোগ সীনেমার শেষ বেলাতে দেখতে অভ্যস্ত আমরা। তাই বলে জীবনটাকে পুরোপুরি সীনেমা বানিয়ে ফেলেন না। কারন, সীনেমার ডিরেক্টরের সুযোগ থাকে শেষ মুহুর্তে এসে পরিস্থিতি সাভাবিক করে তোলার কিন্ত বাস্তব জীবনে প্রত্যেকটা মানুষ তার নিজের ডিরেক্টর হওয়াই এই সুযোগ মোটেই থাকে না। একাধিক ডিরেক্টর একমত পোষণ না করাটাই সাভাবিক আর তা যখন হয় কোটি কোটি মানুষের ব্যপার তখন তো তা পুরোপুরিই অসম্ভব। তাই বিচারের দাবি যেনো আরেকটা অপরাধের জন্ম না দেয় এদিকে যেমন লক্ষ্য রাখতে হবে ঠিক তেমনি লক্ষ্য রাখতে হবে যেনো অতি দ্রুত একটা গ্রহনযোগ্য বিচারের মাধ্যমে অপরাধিদের বিচার করা হয়।
মন্তব্য করুন