(ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে নিবেদিত)
দেয়লে পিঁপড়ের সারি দেখে পিতামহ
আষন্ন ঝড়ের অঙ্ক নির্ভুল কষতেন।
মৃত্তিকার গন্ধ শুঁকে কাহাতের শরীর ছুঁতেন
গ্রামের মোড়ল, প্রকৃতির এ-সমস্ত সহজ আয়াতে
মিশে গেছে জেরজবরহীন দুর্বোধ্যতা।
জনকের ফুল্ল প্রসারিত জমিগুলো হাত-ছাড়া হ’য়ে গেছে
আমার মায়ের সরল বিশ্বাসে
চুলের চেয়েও সুক্ষ্মচিড় ধ’রে গেছে ব’লে
রোজ তার চিন্তা বাড়ে।
গ্রামের সাহসী যুবা, পেশাল কৃষক- যার ভয়ে
জোড়া বলদ সরল রেখায় হাঁটতো
সে আজ শ্রমিক নেতা।
আমি হে মৌলবী, পিঠ ঠেকিয়েছি সব শেষের দেওয়ালে,
আর পা রেখেছি আসন্ন অসম্ভবের চাকার উপর,
মিলদবিহীন এপার্টমেন্ট থেকে রঙিন সুর
ঝুরে ঝুরে পড়ে।
অথচ আমার কালো সন্তানের বুকে
এক গাছি কালো সুতো
লতিয়ে উঠেছে বিশ্বাসের প্রতিশ্রুতি।
সব শব্দ কালো হ’য়ে গেছে একালের অভিধানে!
দীপ্তিহীন, রক্তহীন, ফ্যাকাসে, পান্ডুর হ’য়ে
ক্ষ’য়ে ক্ষ’য়ে লীন হচ্ছে-
পদাবলী, হায় শব্দাবলি,
তোমার বিশাল বুকে, হে সর্দার, মাথা রেখে আমি
কিছুকাল একাকি কাটাবো। নতুন সবক নেবো।
কম্পিত আঙুল দিয়ে তুমি মোরে লিখন লেখাবে?
মন্তব্য করুন