তনু হত্যা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উদয় হচ্ছে মনের মধ্যে… তার আগে বলে নিই যারা বলছেন সেনাক্যাম্পের মধ্যে সেনাবাহিনীর কেউ ছাড়া এ কাজ সম্ভব না তাদের সাথে আমি একমত হতে পারলাম না। কারণ, পিলখানায় এতোজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেননি আর এটা তো খুব সামান্য ব্যপার। সেনাক্যাম্পগুলোকে আমরা যতটা সুরক্ষিত ভাবছি বাংলাদেশের শত্রুরাও কি তাই ভাবে। তারা প্রতিনিয়তই সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। কারণ, চরম মুহুর্তে স্রষ্টার পর বাঙালি সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকে। তাই কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই একতরফা দোষারোপ যেন আমাদের সেনাবাহিনী ধ্বংশের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। তনু হত্যাই নয় সব হত্যার বিচার আমরা চাই তবে তা প্রমাণ সাপেক্ষ্যে। যেহেতু সেনাবাহিনীর দিকে কারো কারো আঙ্গুল উঠেছে সেনাবাহিনীর উচিত এর সত্য উদঘাটন করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা অপরাধি সেনাবহিনীর কেউ হোক আর অন্য যেই হোক। কারণ খারাপ মানুষ নিজের পেটেও জন্ম দেন মা। আর এটাতো খুবই বৃহৎ পরিসর।
তথ্য প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষারোপ করার সম্পূর্ণ বিরোধী আমি। আমার দেশের শান্তিরক্ষি বাহিনীর উপর ভরসা করতে চাই। জানি, আমাদের শত্রুরা এইসব শান্তিরক্ষিদের (ভাইদের) দিকে শকুনের চোখে তাকিয়ে আছে। বিভিন্ন নীল নকশা বাস্তবায়ন করার পায়তারা তারা করবে এটাই স্বভাবিক। আমাদের আবেগের জানালাটা একটু কষ্ট করে চেপে ধরে চিন্তা করতে হবে যে, আসলেই আমার বোন কি আমার ভায়ের দ্বরা ধর্ষিত হলো। নাকি………….
আমরা বাংলার মানুষ আজ কঠিন সময় পার করছি সন্দেহ নেই। আর একটা বিষয় মনে করিয়ে দিই তনুর ধর্ষক ছাড়াও চিহ্নিত ধর্ষকরা যখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন আমার ছোটো মাথায় একটু বেশিই চাপ লাগে…।
ঘটনা ঘটছে যা… রটনা রটছে কি তা??