এ এক উচ্ছন্ন নরক নিবাস-
নির্জীব নিস্পন্দ- শিশিরের মতো- লাশের উপর লাশ
জমে জমে, বালির ঢিবির মতো হতে থাকে স্তূপ;
আশপাশে কাঁদবার কেউ নেই- অসুস্থ সন্ধ্যায় কারো ঘরে মাঙ্গলিক ধূপ
জ্বালবারও কেউ নেই; শুধু অফুরন্ত বীভৎস মৃত্যুর ‘পর ঝাঁকে ঝাঁকে নেমে আসে
নির্হৃদয় অন্ধ অন্ধকার, বরাহ উল্লাসে।
এ যেন ক্যান্সারাক্রান্ত এক জীবন্ত কবর, ধসে পড়া যার বুকের ভেতরে
মৃত্যুর উপর মৃত্যু, ব্যথার উপর ব্যথা আর পচে ওঠা শতচ্ছিন্ন শব-
যেখানে বুভুক্ষু শেয়ালেরা শকুনেরা মাতাল সুড়ঙ্গ করে
ঢুকে পড়ে দলে দলে- মহা আড়ম্বরে, অতঃপর, করে মহা মাংসের উৎসব;
শেয়ালেরা পিশাচের মতো হো হো করে হেসে উঠে বিনষ্ট বাতাসে দোলায় লাঙ্গুল,
আর নীল বিরল তৃপ্তিতে চেটে খায় শকুনেরা শব ঘাঁটা চতুর আঙ্গুল।
ফৌজদারহাট
২৫.১০.২০০১