এখানে অন্ধকার বৈদ্যুতিক আলোয় মশা ধরে ধরে খাওয়া টিকটিকির মতো
আলো ধরে ধরে খায়।
এখানে সন্ত্রাস মানুষের হাড়গোড় কটমট করে খাওয়া রূপকথার রাক্ষসের মতো
জীবন ধরে ধরে খায়।
এখানে অবিশ্বাস শ্মশানের আপোড়া লাশ চেটেপুটে খেয়ে ফেলা শেয়ালের মতো
হৃদয় ধরে ধরে খায়।
এখানে মহেঞ্জোদারো আর
ব্যবিলনি সভ্যতার
সমস্ত কবর ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলে,
এ্যাটোমের দীপ জ্বেলে জ্বেলে
পচা মাংসের জাঁকালো উৎসবে নৃত্য করে ওঠে শ্বেত নেকড়ের পাল;
তৃপ্তির ঢেকুর তুলে, অতঃপর, তামাশায় বুঁদ হয়ে করে যায় চোখ বুজে দন্ত খেলাল।
এখানে মৃতরা বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে কাঁদে।
এখানে জীবিতরা দুচোখে মৃত্যু আর দুঃস্বপ্ন মেখে নিয়ে
ঢুকে পড়ে ফিরাউনের মমির ভেতর।
এখানে শিল্পেরা গলায় তাবিজ বেধে জপে ওঠে বারবার ইবলিশের নাম।
এখানে কবিতারা জবাই করা বুনো পায়রার মতো
ডানা ঝাপটায় ছোপছোপ শোণিতের ’পরে।
তবু সূর্য যথারীতি দিগ্বিদিক প্রতিদিন আলোকিত করে;
তবু চন্দ্র যথারীতি জ্যোৎস্নার রোদ্দুরে আদিগন্ত মোহনিয়া করে।
ফৌজদারহাট
২৬.৪.২০০৩