হিরোশিমা, এতো অন্ধকার ক’রে রেখেছিলে আমার গরাদ, কারাগার।
একটু প্রতীক্ষা কোরো। আর বারবার কেঁদো
অনুভূতি উজাড় ক’রে দিয়ে। আমি
আবারও ফিরে আসবো তোমার উঠানে। লোহার শেকল ছিঁড়ে ফেলে
ভোরের টোপরপরা পাখির মতন। অরণ্যের উত্তরাধিকার নিয়ে।
আমার দেহে সব ছাই ভস্ম ঝেড়ে ফেলে দিয়ে
নতুন মৃত্তিকাকণা নিয়ে আমি আবার আসবো।
হিরোশিমা, সেই পালক পোড়ানো দিন
সেই কালো অন্ধকার করা দিন, আণবিক অগ্নিময় দিন
শিশু, নারী, ফুল, পাখি, গাছ পু’ড়ে দিয়ে ছাই ভস্ম
হ’য়ে যাওয়ার দিনটির কথা আমি কখনো ভুলতে পারবো না।
হিরোশিমা, একটু প্রতীক্ষা কোরো
আমি ফিরে আসবো তোমার
ধিকিধিকি ক’রে জ্বলা আগ্নেয় উঠোনে
আমিও পোড়াবো আমার
দেহ, মৃত্তিকা-ঐতিহ্য। আমি
ছুটে যাবো প্রসূতি সদনে
ভোরের প্রসূতি তুলে দেবে
অসংখ্য আলোক শিশু
নতুন আগস্ট ভোরে।
আর কোনো আণবিক অগ্নিময়
দিন নয়, হিরোশিমা।
মন্তব্য করুন