বাহির দেখলে মনে হয় পাকা, ভেতরটা খেয়ে গেছে পোকায়, এমনই একটি পেয়ারার মতো আমার দুর্দশা। চমৎকার বাঁশের খুঁটির উপর যেন দাঁড়ানো একটি আটচালা ঘর, সবগুলো খুঁটির পোতাই যার খেয়ে গেছে ঘুণে, ঝড় এসে ধাক্কা দিলেই যা উল্টে পড়বে ধুলোয়। অথবা একটি চোরাবালি যেন আমি, যার বুকে পা দিলে মানুষ তো ডোবেই, আমিও আমাকে নিয়েই ডেবে যাই জমিনের তলদেশে। কিসের আনন্দ আমার, আমি তো ঝড়ের কবলে পড়া একটি পুরোনো জলযান, যা আছাড়ি পিছাড়ি খাচ্ছে আটলান্টিকের বুকে। কোন্ সুখে বলো আপ্লুত হবো আমি, যখন উপড়ে পড়া বটগাছের মতো পড়ে আছি উৎপাটিত হয়ে মহাকালের বুকের উপর। এ এমন এক জীবনকাহিনী, যা পাঠ করতে এসো না, বন্ধু, কারণ তোমাকে এ নতুন কোনো আনন্দ তো দেবেই না, বরং তোমার ভেতরের আনন্দকেও নিরানন্দ করে দেবে, তিতা মিষ্টিকে যেমন মিষ্টি করে না, বরং মিষ্টির স্বাদকেও বিস্বাদ করে দেয়।
৩০.৪.২০১২ মিলনমোড়, সিরাজগঞ্জ