কেমন স্বপ্নের মতো লাগলো সব। মুসলমানির ভয়ে যে-ছেলেটি বুনোগাছের মতো গজে ওঠা পাটখেতের ভেতর পালিয়ে থাকতো একদিন, সে কেমন মৃত্যুকে তুচ্ছ করে বক্ষ উদোম করে দাঁড়িয়ে রইলো নির্ভীক, সীমারের ছুরির সামনে। কোনো সুন্দরীর চোখে চোখ পড়লে ভীতু হরিণের মতো যে কেমন আড়ষ্ট হয়ে যেত লজ্জায়, সমস্ত সুন্দরীর কলিজাগুলো কেটে বস্তায় পুরে সে ডুবিয়ে দিলো কি-নির্বিঘ্নে ঘৃণার অথৈ জলে। কালো চুলগুলো কিভাবে সাদা হয়ে গেল, লোহার মতো শক্ত সমর্থ বাহুগুলো সজনে গাছের শুকিয়ে যাওয়া ডালের মতো হয়ে গেল নিষ্প্রাণ, জোয়ারের পানির মতো ফুলে ওঠা কথার ঢেউগুলো মরা ঘাসের পাতার মতো হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো অনন্ত আকাশের দিকে। সব যেন নাটকের মতো, মণিহার সিনেমা হলে বসে কৈশোরের দেখা কোনো চলচ্চিত্রের মতো। তারপর একদিন একশ বছর পর এইসব কথা পড়ে কোনো ভাবুকযুবক বলে ওঠবে বিস্ময়ে, হায়, এইসব কথা যার মনে হয়েছিল একদিন পড়ন্ত বেলায়, কোন্ সে খেলার মাঠে সে এখন ব্যস্ত কিসের খেলায়?
১১.৫.২০১২ মিলনমোড়, সিরাজগঞ্জ