হিরোশিমা, তোমার মাটিতে আজ নতুন বৃক্ষের সোপান। কুঁড়ি ফোটানোর
শব্দে, পৃথিবীর ঘুম ভেঙে যায়। তুমি বারবার জেগে ওঠো ধ্বংসস্তূপ
থেকে-অঙ্গীকার করো পাখির কুলায় আন্দোলিত দিন রাত্রি।
হিরোশিমা বলো, আমি কেন বারবার প্রকৃতির ভেতর সুনীল যন্ত্রণার ছায়া
দেখি। তোমার শোকার্ত বীজকণা ধ্বংসের অতীত থেকে বসন্ত হাওয়া
নতুন জীবন ব’য়ে বেড়াতে চায়।
আর আণবিক- বিভীষিকাহীন পৃথিবীর অঙ্গীকার দৃঢ়বদ্ধ হ’তে
থাকে। হিরোশিমা, আজ যেন প্রতিটি মানুষ জীবিতের প্রগাঢ়
নিঃশ্বাসে প্রতিটি গ্রহকে তোলে সহিষ্ণু-হৃদয়। বলো, আর
ক’বার পুড়বে এ-পৃথিবী-প্রগতি নন্দনতত্ত্বের মসৃণ কাগজপত্রে ?
বলো, আর ক’বার পুড়বে গোলাপ বৃন্তের সোনালি উদ্যান?
নক্ষত্র ও নীলিম নীলিমা? সূর্যের হৃৎপিন্ড থেকে আর কতো ঘটবে
রক্তপাত। হিরোশিমা, বলো আমরা কি ক’রে বাঁচিয়ে রাখবো আমাদের
যা কিছু নিজস্ব ! আমাদের দিনগুলো আমাদের রাতগুলো আমাদের
চৈতন্য, সংজ্ঞা, সত্তা, নিদ্রা এবং স্বপ্ন ? এসা, আমরা প্রার্থনা করি আমাদের
স্বপ্ন ও নক্ষত্রের জন্যে। আমাদের অন্তরিক্ষ, সূর্য ও নক্ষত্রের জন্যে।
০৭/০৮/১৯৯৩
মন্তব্য করুন