(হিরোশিমা : আগস্ট ১৯৪৫)
অন্ধকার হ’য়ে গেলো
অন্ধকার হ’য়ে গেলো পৃথিবীটা
এই গাঢ় অন্ধকারে
ঢেকে গেলো মানুষের মুখ
তবুও উন্মুখ আলোকণা জন্ম নেয়- এই মৃত ভস্মাধারে।
আগুনের ঝাঁজরা পোড়া মানুষের করোটি-রা
পড়ে থাকে প্রদোষের নিচে
এখনো দিগন্ত লাল
বেলাভূমে ছায়া নামে
‘নিসিকি’ সী-বীচে।
হিরোশিমা কাঁপে। কেঁপে ওঠে
বারবার। সভ্যতাও ফ্যালে অশ্রুজল;
নায়াগ্রার প্রপাতের
চেয়ে, আহা! আরো বেশি অবিশ্রান্ত
এ শোক প্রবাহি!
তবু থেমে নেই গান-
মানুষের পদপাতে
প্রগতির পথের নির্মাণ;
তুমি কি আসবে কাল?
হেসে ক্ষণকাল?
ভাঙবে এ অন্তরাল?
দিনের প্রথম আলো হাতে
দাঁড়াবে উঠোনে
ধ্বংস্তূপ পড়ে থাক দূরে, বহুদূরে
আলোকণা আছে আরও এই অন্তপুরে
প্রিয় প্রকৃতিকা,
কোথাও যেও না আর ‘অসুর-সংঘাতে’।
আমি জানি, পৃথিবীতে
প্রতিদিন সূর্যমুখী ফোটে
তোমার সূর্যও আশায় আশায়
জাগে। শুধু জেগে ওঠে।
মন্তব্য করুন