বাতুলতা তোমাকে চাই না আর! ঢের ঢের
শিখেছি নায়ক বুলি, কী কোরে প্রেমিক সেজে
সারারাত কাঁদতে হয় তাও জানি। আর কড়ে আঙ্গুলের ছোঁয়া
কী কোরে লাগতে হয় প্রতিজ্ঞার ঘাড়ে
তাও বেশ জানে এ অধম!
ভাঙ্গা মন্দিরে হে বাতুলতা, শুধুই অতীত কাঁদে
পুরোনো মন্ত্রের স্বরে। আর প্রবীণ মসজিদে
সেই ব্যাকুল শব্দে জানে তোমার করুণ হেরফের।
ফুঁ দিয়ে নেভানো যায় সহজেই তোমার তুষার আলো
যেহেতু সবাই জানে তুমি আসো ক্ষণিক সম্ভারে!
প্রার্থনায় পবিত্র যিনি, আত্মার সৌষ্ঠব যার
ঈশ্বরের সমর্থ প্রকাশ , তাকে তুমি কী কোরে ভাঙ্গাবে বলো?
ফুটো পয়সার লোভে? কয়েকটি রেজগী দিয়ে চোস্ত সেই বন্ধুদের হাতে
বিমূঢ় প্রসিদ্ধি এটে জনান্তিকে? -জনতাকে কী কোরে জানবে তুমি?
তারা জানে তোমার বাঘের গল্প বড় মিথ্যে, যেহেতু
ঠকেছে তারা বারবার তোমারই চিৎকারে!
মাথায় কিংবা কোন ‘প্রোফাইল’ চিন্তায় তুমি বিশ্বাস করনা জানি,
সর্বক্ষণ গায়ের পোষাকে আঁটো ঠগ মানুষের ছুরি
আর সযতেœ লুকিয়ে রাখো বুকের পকেটে শত
মুগ্ধকর প্রলাপের তুড়ি!
বুঝি, তুমি সেচ্ছার বাহোবা খোঁজো, তাই ভয়ানক
মিথ্যাকেও নিবির্ঘ্নে ষেরাও ফের জ্যান্তব খবরে!
মসৃন পোষাক ওরা খুলে নিয়ে বাতুলতা
যখন নগ্ন কোরে রেখে দিবে চৌরাস্তায়
আর জনতার তিরস্কারে তখন সে খসে যাবে মুখোশ তোমার!
হাজার বাদুড় এসে খুলে নেবে কিমাকার তোমার দু’চোখ।
প্রতিদিন তাইতো তোমাকে বলি, বাতুলতা
তোমাকে চাইনা আর! তোমার মুখোশে জানি
প্রকৃত বাঘের হল্লা তোমাকে কাঁদাবে!