রাত্রিটা শুধু হীম বয়ে আনে বন্ধু! শরীফন
তার বুনো কাঁচা বুকে ছড়ায় সলাজ কান্না!
ব্যথিত আঙ্গুলে মুছবো রাত্রি? -পাখীর ঝাপটা বন্ধু?
ভেজা চুলে ভাঙ্গা শিশিরের দাগ, জলের স্বরের ক্লান্তি,
রাতটা কখন হাসবে আবার বন্ধু?
চোখে বড় লাগে প্রাচীন বটের ছায়া! পাখীটা ডাকবে?
ঘড়া ঘড়া জলে উদাসী ঘাটের সিঁড়িটা এমন মুখর অতীতগন্ধী
চাঁদটা কাঁদছে বাশঝাড়ে একা; হয়তো কবরে লোবান জ্বেলেছে
আহত শোকের কেউ!
পাখীটা বোলছে মরণ আমার! -জুলেখা ছড়ায় চাপা ভয়, হা-হুতাশ।
জবা গাছটায় হাওয়া হাসে বুঝি? তবু তো সরেনা নির্বাক বুড়ো রাত
কখন থামবে বাউল শায়ের বন্ধু? দ্যাখো পোঁড়া চাঁদ
রাত জেগে থাকে,জানেনা ঘুমের ভাষা!
কে যেন মরলো! ছাই চাপা সব আগুনে ছড়িয়ে ব্যথা,
ক্ষিপ্ত ক্লান্তি বোকা দেহটায় আবার চেপেছে বন্ধু!
ধুসর শালিক বুক খুড়ে দ্যাখে
মুখর হৃদয় বন্ধ্যা!
সরবনে আজ কখন জাগবে
নদীর জোয়ার বন্ধু?
হাতের আঙ্গুলে ভেঙ্গে যায় শুধু
প্রাচীন কথার সন্ধি!