পাখিরা প্রত্যহ আসে
ভোরে আসে
টুকরো কিছু রুটির ভোজেই তৃপ্ত হয়ে গান গায়
ঘাসের শিশিরে মুখ ধুয়ে উড়ে যায়
ঈর্ষার আগুন কিছু রেখে যায় সকালের রোদে।
পাখির জীবন কভু সংসারে পাবো না
পাখির মতন সুখ-স্বাধীনতা মানুষের ভাগ্যে লেখা নেই
যত ভাবি ততই হৃদয়ে
ঈর্ষার আগুন জ্বলে
মনে হয় সংসারের সীমা
ঈর্ষার প্রাচীরে ঘেরা!
পাখিদের সঙ্গ কভু পাইনি
জানি না
তাদের হৃদয় বলে কোন কিছু আছে কি-না
হৃদয়ে ঈর্ষার
আগুনের মত কিছু জ্বলে কি জ্বলে না!
যে ঈর্ষা আমাকে এই প্রাত্যহিক ভোরর শয্যায়
সব ক্লান্তি মুছে দেয়
যে ঈর্ষার জ্বালা
প্রত্যহ আমার এই মানবিক তৃষ্ণায় কেবল
অতৃপ্তির হাওয়া দিয়ে তৃষ্ণাকে অমর ক’রে রাখে,
আমাকে অমর করে পৃথিবীর তৃপ্তিহীন মানুষের মাঝে:
তেমন ঈর্ষায়
জানি না পাখিরা কভু বিষণ্ন হয়েছে কি না কোনোকালে
আর
তেমন মহৎ কোনো ঈর্ষার শিখায়
পাখিরা সুখের পথ সন্ধানের সুখে সুখী কি না
জানি না।
জানি না ব’লে মাঝে মাঝে পাখিদের সুখে
সহযেই সুখী হই।
তখন হৃদয়ে ঈর্ষার আগুন নেই।
সারাপ্রাণ নম্র হয়ে আসে স্নেহে আর মমতায়।
তখন নিজেকে পাখিদের প্রভু বলে মনে হয়।
দু’হাতে তখন
পারি আমি অনায়াসে ছড়াতে রুটির
সব টুকরো-
তখন নিজের সব রুটি পাখিদের ভোজে
ঢেলে দিতে পারি আমি;
কেননা তখন
পাখিদের মনে হয় আশ্রিত অথবা
কখনো বা নিমন্ত্রিত অতিথির মত।
মন্তব্য করুন