১। যখন তমসা
সারা জীবন পুঁথির রাজ্যে হাবুডুবু খেলেন
আমার যে প্রশ্ন ছিলো
তার কি কোনো জবাব কোথাও পেলেন?
বলুন ত’ ভাই শুনি
যখন বলি এসো জীবন, দু’জন এখন
কথারই জাল বুনি,
তখন কেন কারো মুখেই ফোটে না আর কথা;
বলতে পারেন
কি ক’রে যায় অভদ্র এই নিত্য নীরবতা?
যতই বলি জীবন, তোমার বড়ই ভালোবাসি,
মিলেমিশে এসো দু’জন থাকবো পাশাপাশি-
জীবন কেন মারখাওয়া এক বোবা পশুর মত
ছুটে পালায় অনেক দূরে যতই বলি তত!
বলতে পারেন সাহেব
আমার জীবন আমায় ছেড়ে
কোন সাহেবের একান্ত মোসাহেব?
মানুন আর না মানুন সাহেব সত্যি কথা বলি-
আপনি ত’ বেশ বলে বেড়ান,
যা কিছু হোক থাকতে হবে ‘জলি’।
তাইত সদাই ভাবতে থাকি,
খাসা আছি, কিচ্ছু হয়নি যেন-
কিন্তু সাহেব বলতে পারেন,
হাসতে গেলেই হাসি পাচ্ছে কেন?
২। এবং রাজসিক
ঝগড়াটা তোমার সঙ্গে মিটিয়ে ফেলবার
কোনো পথ নেই তি জীবন?
হে জীবন
এসো আজ সন্ধি হোক তোমাতে-আমাতে
মিলেমিশে একই সঙ্গে
পাশাপাশি বাস করার ব্যবস্থা এবার
শুরু করি।
কখনো তোমাকে হতভাগা ব’লে আর
নিন্দে ক’রে দূরে দূরে সরিয়ে রাখার
দুর্বুদ্ধি না হয় যেন
তুমিও অমন
সর্বদা সমস্ত মুখ ভার ক’রে মারখাওয়া
পশুর মতন
বোবা দৃষ্টি মেলে রেখে
স’রে স’রে থেকো না কখনো
যখন যেটুকু পাই
তৃপ্ত হবো তাতেই দু’জনে
যা নেই বা যা কখনো পাওয়ার আশাও নেই
তার তৃষ্ণায় জ্বলবো না আর
দুঃখকে অমন ক’রে
ঘর-দোরে দেব না আসন স্বেচ্ছায়
বরং
দু’জনেই মুখোমুখি এসো বসি
সুখের দুঃখের ঘুটি দুটো
অবিরত বদলাই এবং
তা’হলে একদিন দেখো
দেখা যাবে দুটোই কখন
অনায়াসে একই রঙে দিনেদিনে হয়েছে রঙিন।
মন্তব্য করুন