দেয়ালে ভার্জিন মেরী, মোনালিসা
তারি মাঝখানে
তোমার কোমল দীপ্তি জয়নুলের তুলিতে অমর।
মাঝে মাঝে অপলক দৃষ্টি মেলে দিয়ে
চেয়ে থাকি
মুগ্ধ হই
মনে মনে ভাবি
ধন্য তুমি,
অসামান্য সম্মানে তোমাকে
রেখেছি এ উচ্চাসানে-
আমি ধন্য;
আর ধন্যবাদ সে মহৎ শিল্পীকে জানাই
তুলি যার রেখায় রেখায়
দিয়েছে অক্ষয় দীপ্তি
তোমাকে;
যেহেতু
আমার দেশের প্রাণ তুমি
আর তোমার বলিষ্ঠ বাহু
এ দেশের সহস্র জনের
প্রাণেমনে ভাস্বর প্রতিভা জ্বেলে রাখে
হৃদয় জাগ্রত রাখে
সভ্যতার দীপশিখা
অনির্বাণ জ্বেলে রাখে পথে পথে;
আশা আর ভাষা দেয় সেই পথে
দাক্ষিণ্য তোমার।
তাই তোমাকে সম্মান করি।
দেয়ালে আমার
তুমি নিত্য দীপ্তিমান।
তোমাকে জানাই
প্রাণের অসীম শ্রদ্ধা-
মনে মনে জানি,
আমার রাত্রি ও দিন সার্থক তোমার মহিমায়।
সোনার সকালে আর সোনামাখা বিকেলে আমার
কবিতার উৎস তুমি
আমার কবিতালোকে মহাকবি তুমি।
তাই তুমি দেয়ালে আমার
সম্রাটের মহিমায় দীপ্তিমান।
যদিও তোমার অমর কবিতালোকে
আমার পায়ের চিহ্ন পড়েনি কখনো,
রোদ বৃষ্টি ঝড়ে আর প্লাবনের দিনে
তুমি আর শত শত কবিকর্মী তোমার মতন
কি আবেগে সৃষ্টি করে পৃথিবীর প্রাণের কবিতা
কি আশ্চর্য ভালোবাসা
কি বিপুল ত্যাগের মহিমা
তোমরা ছড়াও নিত্য
মাঠে মাঠে
আর
দেশের পথে ও ঘাটে
হাটে হাটে বন্দরে বন্দরে
তোমরা ছড়িয়ে দাও কি অমর কবিতাসম্ভার
দেখিনি দুচোখে মেলে-
আমার কবিতা
সে অমর কাব্যলোকে
জীবনের নতুন আশ্রয়
খুঁজে নিতে ভয় পায়।
ভয় হয়
আত্মপরিচয়
অশেষ লজ্জায়
হয়তবা সে আলোকে তুলে দেবে ছলনার ছবি!
তাই
তোমাকে এখানে দেখি
নিত্য দেখি মুগ্ধ হই
মনে মনে জানি,
… সে আমার মন জানে,
আর সরবে ঘোষণা করি
তুমি ধন্য।
আমি নির্ভয় ভাবনাহীন।
মন্তব্য করুন