লোলুপ শকুন তবু আজও অমর এই পৃথিবীর সমস্ত চুঁড়ায়
আজো চারিদিক লোলজিহ্বা হানা দেয় পিশাচের সুখে
ভেঙ্গে দেয় নৈমত্তিক স্নেহ প্রীতি কিংবা কোন সুললিত কথার ঝঙ্কার
যেন বন্ধ ঘন্টা বাজানোর পর সেই সাংকেতিক মানুষের মুখ
বাদুড়ের চোখে ফেরে, সূর্যের চাকায় অতঃপর উদ্ধৃত রিপুর
টংকার, অতিলোভী রক্তের শিরায়
গেঁথে দেয় লোভস্পর্শ, উথাল পাথাল।
নির্মম পুরুষ হাতে নিঃসর্গ কাটায় যেনো কারো আক্রমনে
শবের চিৎকার ঘোরে বেহায়া শংকায়! ভয়ঙ্কর ক্রোধ
ঘুরে ফিরে নিয়ে আসে বিলোল হত্যার দাগ!
পৃথিবীর বেষ্টিত সড়ক, পিশাচের পদাঘাতে কাঁপে!
তবু মিছে মিছি অমৃতের গানে, এখানে ওখানে
সহিষ্ণু চন্দ্রে কিংবা সমৃদ্ধ সকালে জাগে দেবতার আনন্তিক হাসি!
পরিতৃপ্ত পারিষদ তবু হায় উচ্ছিষ্ট ভাঁগাড়ে খোঁজে
হারামণি, রত্নমণিকর!
ভাসিয়ে মড়ক আর পূঁজ রক্ত হলাহল নীলাভ শৈবালে
আজো তাই নীলকণ্ঠ সামুদ্রিক শবে
রক্তের সঞ্চয় ভাসে পবিত্র ভাষায়!
বিশাল মাছের চোখে তবু জাগে শবের পিপাসা!
প্রাগৈতিহাসিক শব জানেনা ফসিল কিংবা
পাথরের পাললিক স্তর! জানে সংযুক্ত নাভির শ্বাস
জ্যোতিচিহ্নে আদিম শকুন!
যার ঠোঁটে অমর ভাঁগাড় আর অলৌকিক দেহ কাঁপে
মুমূর্ষুর নিহত আক্ষেপে!
মন্তব্য করুন