নিখুঁত সংলাপে আর অভিনয়ে দু’বেলার কড়ি
কুড়িয়ে, পেছনে রেখে মঞ্চের আলোকসজ্জা আর
সাজঘরের সীমানা পেরিয়ে
পোড়া ইট সাজানো বাগান
দূরে রেখেে
এখানে বিশ্রাম করি
একা বসে
অকৃত্রিম মাটির আসন পেতে।
সব সাজ খুলে ফেলি
রাজা কিম্বা উজীরের অথবা ভাঁড়ের
বিচিত্র টুপিটি খুলে দূরে রাখি।
ঘাসের শিশিরে
মুখের সমস্ত রঙ তুলে ফেল নিপুণ দু’হাতে।
অতঃপর সামনের নদীর ধীর জোয়ারের জলে
চোখ রেখে
আর সেই জলের আর্শিতে
যথন নিজেকে দেখি তখন হঠাৎ
মনে পড়ে অতীতের অন্য এক সম্রাটের কথা।
মনে পড়ে কবে সেই রাজ্যপাট ছেড়ে
দূরের রাজ্যের এক মায়াবিনী কুমারীর তিন
ধাঁধার উত্তর খুঁজে ক্লান্ত আমি
সমস্ত যৌবন বিলিয়েছি
উত্তর মেলেনি।
অতঃপর যথাচুক্তি ভূমিকা এখন
অনুগত কিঙ্করের
এবং খুশির মঞ্চে তার
নিত্য নানা অভিনয়ে দিন যায়-
হঠাৎ কখনো
গোধূলির নিমন্ত্রণে সাজঘরের আলো নিবে যায়।
কখনো সন্ধ্যায়
বকুলশিউলির কুঁড়ি গন্ধ দেয়।
কখনো পাখির
প্রসন্ন কণ্ঠের সুধা ঢেউ তোলে
জানি না কখন
পুরনো নদীর স্রোতে পা ডুবিয়ে বসেছি নির্জনে।
মন্তব্য করুন