পুরোনো এই বাড়ি, বুনো লতায় ঘেরা, দাঁড়িয়ে নির্জনে;
পড়ছে খসে ছাদ, পলেস্তারা আর নকশা করা ইট;
কে ছিলো এই বাড়ি-জানে না কেউ আজ, কারো তা নেই মনে;
সেখানে বাস করে এখন ভূতপ্রেত, সর্প আর কীট।
সিংহমূর্তিটা দাঁড়িয়ে তিন পায়ে সদর দরোজায়,
গিয়েছে ভেঙে মুখ, রেখেছে ধরে তবু প্রাচীন প্রাচূর্য;
এখানে একদিন উঠতো রাতে চাঁদ জমাট আড্ডায়,
সোনার রঙ মেখে উঠতো ভোর বেলা স্বপ্নের সূর্য।
কে ছিলো এই বাড়ি, কোন্ সে জমিদার কিংবা গৃহস্থ-
নূপুর পরে পায়ে রূপসী বধূ তার হাঁটতো সারা ঘর,
রোদেলা হাসি তার সবুজ মুখ থেকে যেতোই না অস্ত,
সে-হাসি দেখলেই মধুর ঈর্ষায় পুড়তো অন্তর।
পরোনে বুঝি তার থাকতো মসলিন কিংবা জামদানি;
তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে থাকতো সারা গ্রাম-
যেন সে ছিলো পরী কিংবা অপ্সরী কিংবা কোনো রানী;
কে ছিলো এই বাড়ি-জানে না কেউ আজ, জানে না তার নাম।
২৮.৯.২০১৫ সিরাজগঞ্জ