তৃতীয় সর্গ
ভূমিধস বিজয়ে নাচছে সারা দেশ।
পেয়েছে আওয়ামী লীগ একশত ঊন-
সত্তরটি সিট পূর্ব-পাকিস্তানে; মাত্র
দুটি ক্ষমতাসীনরা; ওদিকে পশ্চিম-
পাকিস্তানে পিপলস পার্টি অষ্টাশিটি,
একশত আটত্রিশটির মধ্যে; ফলে
আওয়ামী লীগই সংখ্যাগরিষ্ট দল
দুই পাকিস্তানে। বাংলার বিপ্লবী নেতা
শেখ মুজিবের ক্ষমতায় যাওয়া আজ
মুহূর্তের ব্যাপার। যে-কোনো মুহূর্তেই
ডাকা হতে পারে তাঁকে শপথ নেওয়ার
জন্যে। দলে দলে আসছে মানুষ ছুটে
বত্রিশ নম্বরে, শুভেচ্ছা জানাতে; শত্রু-
মিত্র সব। বঙ্গমাতা বেগম মুজিব
ব্যস্ত সারাদিন অতিথির আপ্যায়নে।
মিটিংয়ের পর বসছে মিটিং বাঘা-
বাঘা সব আওয়ামী নেতার সাথে ভোট-
যুদ্ধে নিরঙ্কুশ বিজয়ী নেতার। বৃষ্টি-
স্নাত গোলাপের মতো উৎফুল্ল সবাই।
সর্বত্র খুশির উৎসব। সে-খুশির
মাঝখানে নরকের ঘৃণ্য প্রেতাত্মারা
চুপিসারে কেউটের মতো বিষধর
ফণা তুলে করতেছে ফোঁসফোঁস আর
কানাঘুষা পথেঘাটে; ঈর্ষার অনলে
পুড়ছে পাপিষ্ঠ জন; আর ক্রোধোন্মত্ত
হয়ে তারা রটাচ্ছে গুজব পৃথিবীর
বাতাসে বাতাসে-পাকিস্তান এইবার
হিন্দুস্থান হয়ে যাবে। এবং এদিকে
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ক্ষমতা দেওয়ার
নামে করছে বাহানা কত। আশা আর
আশঙ্কার দোদুল দোলায় রাত্রিদিন
দুলছে হৃদয়, ভোটের বুলেট ছোড়া
সাত কোটি বাঙালীর। পুঁতির মালার
সুতো ছিঁড়ে গেলে, যেভাবে ফড়্ফ্ড়্ করে
খুলে খুলে পড়ে পুঁতি; ঘটনার পর
ঘটনা সেভাবে, ঘটতে লাগলো রোজ
নির্বাচনোত্তর সারা পূর্ব-পাকিস্তানে।
তিন জানুয়ারি; রেসকোর্স ময়দানে
সদ্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের
করালেন প্রকাশ্যে শপথবাক্য পাঠ
বঙ্গবন্ধু। মহান নেতার হাতে তাঁরা
দুই হাত রেখে করলেন অঙ্গীকার:
ছয় দফা মেনে তৈরি করবেন দ্রুত
নয়া সংবিধান আর আনুগত্যশীল
হবেন বাংলার মানুষের প্রতি। পাঁচ
জানুয়ারি; পশ্চিম পাকিস্তানের নেতা
জুলফিকার আলী ভুট্টো দিলেন ঘোষণা:
গঠন করতে হবে যৌথ-সরকার।
২৭ জানুয়ারি ঢাকায় এলেন তিনি
এতোদ্দেশ্যে। বসলো বৈঠক ঠিকই; তবে
সাত কোটি বাঙালীর নেতা অযৌক্তিক
দাবি তাঁর উড়িয়ে দিলেন এক ফুঁয়ে।
সমগ্র পাকিন্তানের সংখ্যাগরিষ্ট
দলের এখন নেতা শেখ মুজিবুর
রহমান। করতে হবে তাঁরই কাছে শুধু
গদি হস্তান্তর; শেখ মুজিব অনড়
সে-দাবিতে। ভ্রু-কুঁচকালেন ধূর্ত সিন্ধী
শেয়াল; প্রচণ্ড ক্ষোভে আর অপমানে
গুটিয়ে নিলেন লেজ। গেলেন পশ্চিম
পাকিস্তানে ফিরে, বুনতে নতুন করে
ষড়যন্ত্রজাল। এদিকে গণবিক্ষোভে
উত্তাল ঢাকার রাজপথ; টগবগ
করে ফুটতে লাগলো অলিগলি, যেন
জ্বলন্ত উনুনে রাখা তেলের কড়াই;
একটাই দাবি- জনতার নির্বাচিত
নেতার নিকট হস্তান্তর করো গদি।
১৩ ফেব্রুয়ারি; প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া
ঘোষণা দিলেন ন্যাশনাল এসেম্বলির;
অনুষ্ঠিত হবে ৩রা মার্চ। ঢাকাতেই।
এসেম্বলি বয়কট করবেন বলে
ঘোষণা দিলেন ভুট্টো। আপাতত তাঁর
একটাই দাবি-ক্ষমতা ছাড়তে হবে
দুই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নিকট:
আওয়ামী লীগের কাছে পূর্ব-পাকিস্তানে
এবং পশ্চিম পাকিস্তানে, তাঁর দল
পিপলস পার্টির কাছে। বাংলার বাঘ
এ-প্রেক্ষিতে ছাড়লেন পাল্টা হুংকার:
ক্ষমতা ছাড়তে হবে একমাত্র তাঁর
দলের কাছেই; জনগণ ভোট দিয়ে
দিয়েছে ম্যান্ডেট শুধু তাঁর দলকেই,
দেশ শাসনের। গণতান্ত্রিক এ দাবি
লংঘন করার অধিকার কারো নেই
আধুনিক রাষ্ট্রে। তাই ১৬ ফেব্রুয়ারি
বঙ্গবন্ধু ভুট্টোর দাবির প্রতিবাদে
দিলেন বিবৃতি:‘ভুট্টোর এ হেন দাবি
একেবারে অযৌক্তিক; সকল ক্ষমতা
হস্তান্তর করতে হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ
দল আওয়ামী লীগের নিকট। পূর্ব-
পাকিস্তানের জনগণই আজ কর্ণধার
সর্ব ক্ষমতার।’ সমগ্র দেশ ও জাতি
গভীর উৎকণ্ঠায়। মিছিলে-শ্লোগানে
তপ্ত সব রাজপথ পূর্ব-পাকিস্তানে-
জেলায় জেলায় আর বিভাগে বিভাগে।
উঠেছে বাঙালী ফুঁসে সারা বাংলায়,
শাসনের অধিকারে। প্রমাদ গণলো
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া। ঠান্ডা রক্তে তাঁর
খানখানানের স্রোত, চিত্তে অবিশ্বাস;
মুসলিম-মুসলিম ভাই ভাই বলে
দুই পাকিস্তান হয়েছিল এক দেশ,
ঊনিশ শ সাতচল্লিশে। কিন্তু খান আর
পাঞ্জাবীরা চিরদিন সৎভাইরূপে
এসেছে শাসন করে বাঙালীকে; আর
বাঙালী-মুসলমানকে দেখেছে কেবলি
অবজ্ঞার চোখে; ভাবেনি মুসলমান
কখনো এদের পুরো; বরং করেছে
এ ধারণা: অর্ধ-হিন্দু এরা, ছোট জাত,
মুচি, শুঁড়ি, বেইমান কিংবা কাফের।
যে-মহান ধর্ম এসেছিল পৃথিবীতে
মানুষে মানুষে সব ঘুচাতে বিভেদ;
এসেছিল জাতপাত-বংশমর্যাদার
ভুয়া পরিচয় ধুলায় গুড়িয়ে দিয়ে
সমান করতে সব মানুষের শির;
আজ কতিপয় কপট-কূপমণ্ডুক
স্বৈরাচার ও দুঃশাসনের বেড়াজালে
বন্দী পুর্ব-পাকিস্তানে, সে-ধর্মের নামে
তোলে বিভেদের সুর মানুষে-মানুষে;
মদের পেয়ালা ঠোঁটে নিয়ে গায় তারা
ফেরাউনের কোর্তা পরে ইসলামের গান;
বাঙালী উঠেছে গর্জে তাদেরই বিরুদ্ধে
আজ রাস্তায় রাস্তায়। ভ্রু-কুঁচকালেন
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া, আর আয়নায়
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন শ্যেন-চোখে
নিজের চেহারা বারবার। চোখ বুজে
তাকালেন বহু দূর। দেখতে পেলেন-
পতপত করে উড়ছে যেন চারদিকে
চির শত্রু ভারতের পতাকা। কঠিন
হয়ে উঠতে লাগলো তাঁর মুখ। চোখ
খুলে মুষ্টাঘাত করলেন তিনি শূন্যে
ও অস্ফুট ক্ষুব্ধ স্বরে বলে উঠলেন:
‘রে মুজিব! বিশ্বাসঘাতক! বুনো ঘুঘু!
এবার দেখবে তুমি ফাঁদ।’ বলে তিনি
ফেটে পড়লেন প্রচ- হাসিতে, যার
ঢেউ শুধু ঘরের ভেতর নয়, যেন
আছড়ে আছড়ে পড়তে লাগলো দূর
লাহোর, করাচি আর রাওয়ালপিণ্ডিতে।
তারিখ পয়লা মার্চ। দিলেন হঠাৎ
বন্ধ করে তিন তারিখের এসেম্বলি
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া। রুদ্ধবাক জাতি।
বাঙালী উঠলো ফুঁসে। বাংলার নেতা
আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটি নিয়ে
দ্রুত বসলেন এক জরুরি বৈঠকে।
বৈঠকের তড়িৎ সিদ্ধান্ত মোতাবেক
দিলেন হরতালের ডাক তিনি ৩রা
মার্চ গোটা পূর্ব-পাকিস্তানে। জনগণ
ক্ষুব্ধ পানির স্রোতের মতো নেমে এলো
রাস্তায় নেতার আহ্বানে। সফল ও
শান্তিপূর্ণ হরতাল শেষে, জানালেন
সত্বর ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান
বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার প্রতি।
রাত্রি দ্বিপ্রহর; শায়িত মহান নেতা
প্রিয় স্ত্রীর পাশে; শুধু শুয়ে থাকা, ঘুম
নেই চোখে; ঘুরপাক খাচ্ছে দেশ-জাতি
আর মানুষের কথা কেবলি মস্তকে।
স্বদেশ ও স্বামীর চিন্তায় ভেঙে পড়া
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা রুদ্ধশ্বাসে
তাঁর ভয়, উৎকণ্ঠা এবং আসন্ন
বিপদের কথা জানালেন অকপটে
প্রাণের অধিক প্রিয় বঙ্গের বন্ধুকে।
যেন কোনো বটবৃক্ষ, ফেলে দীর্ঘ ছায়া
জীবনের চারপাশে, বলে উঠলেন
শুনিয়ে অভয়বাণী: “শোনো, হাসুর মা,
জয় আমাদের অনিবার্য। কোনো কিছু
দিয়ে আর পারবে না দমিয়ে রাখতে।
আমরা, নিরীহ বাঙালীরা, ক্ষমতায়
যাওয়ার সুযোগ পেলেই, প্রতিবারই
হামলে পড়েছে ওরা হায়েনার মতো।
এবার আমরা কাল কেউটের বিষ-
দাঁত ভেঙে দেবো, আর উপড়ে ফেলবো
সমস্ত আগাছা বাংলার বুক থেকে।
আমরা বিশ্বের সাথে যোগাযোগ রক্ষা
করে চলেছি; পৃথিবী আমাদের পাশে
আছে; সাথে আছে সাত কোটি মারণাস্ত্র,
আমার বাঙালী ভাইয়েরা। এদেশের
নিরপরাধ-নিরীহ মানুষের ’পরে
মানুষ নামের ওই পশ্চিমা পশুরা
তেইশ বছর ধরে কি-অত্যাচারই না
চালিয়ে আসছে! আমার বাঙালি জাতি
নির্যাতিত, নিপীড়িত, বঞ্চিত, লাঞ্ছিত।
আর সইবো না। আমরা সাতই মার্চে
মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি ঢাকার
রেসকোর্স ময়দানে। সারা দেশ থেকে
মানুষ আসবে। লক্ষ লক্ষ ভুখানাঙা
মানুষ। আমার বাংলার মানুষেরা।
এবার আমরা জিতবোই, তুমি দেখো।”
“হে মহান প্রভু, পরম করুণাময়,
আমরা তাকিয়ে আছি চাতক পাখির
মতো শুধু তোমার দিকেই সাহায্যের
আশায়। অনাথ এ-জাতির প্রতি তুমি
মুখ তুলে চাও, হে পরওয়ার দেগার।”
“আমীন! আমীন!” বললেন মহানেতা।
গভীর সুষুপ্তি নেমে এলো অতঃপর
বত্রিশ নম্বরে।
সন্দেহ, সংশয় আর
অবিশ্বাসে ভরে গেছে সারা দেশ। শুধু
ফিসফিসানি ও কানাঘুষা চারদিকে-
কী হয়, কী হয়! বত্রিশ নম্বর যেন
বঙ্গোপসাগর, লোকেরা নদীর মতো
আসছে আর যাচ্ছে সারা দিন, যেরকম
আসা-যাওয়া করে জল জোয়ার-ভাটায়।
বৈঠকের পর বৈঠকে, বঙ্গের নেতা
বাঙালীর দুচোখের মণি বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান অনর্গল
দিয়ে যাচ্ছেন নির্দেশ-উপদেশ তাঁর
কর্মীবাহিনীকে, যেভাবে যুদ্ধের আগে
সেনাপতি সৈন্যদের করে হুঁশিয়ার
রণকৌশলের নানা গোপন বিষয়ে।
মৌচাকের মতো ঘিরে আছে তাঁকে সব
ছাত্রনেতা, যুবনেতা আর জাদরেল যত
আত্মত্যাগী বয়োজ্যেষ্ঠ আওয়ামী নেতারা।
আছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম,
তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম
মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক
আহমেদ, অধ্যাপক ইউসুফ আলী,
এ এইচ এম কামারুজ্জামান, শেখ
ফজলুল হক মণি, কামাল হোসেন,
নূরে আলম সিদ্দিকী, আব্দুর রাজ্জাক,
তোফায়েল আহমদ, আ স ম আব্দুর
রব, শাহজাহান সিরাজ, সাইফুল
আলম খান, আব্দুল কুদ্দুস মাখন,
আবদুস সামাদ আজাদ, তবিবুর
রহমানসহ বিপুল নেতা ও কর্মী।
সকলের একটাই দাবি প্রাণপ্রিয়
নেতার নিকট-আর কোনো পিছুটান
নয়, এবার প্রকাশ্যে চাই বাংলার
স্বাধীনতার ঘোষণা। শোনেন মহান
নেতা সকলের কথা; দোলান উন্নত
শির সগৌরবে; তবু বারবার ভারী
পাথরনুড়ির মতো ডুবে যান যেন
কোন্ অথৈ ভাবনায়; চোখে তাঁর ভেসে
ওঠে কাঁকরবিছানো আঁকাবাঁকা পথ-
দীর্ঘ-দীর্ঘতর- কেবলি যা বিষকাঁটা,
ছোপ ছোপ রক্ত আর বীভৎস মৃত্যু
দিয়ে ঢাকা। আঁতকে ওঠেন তিনি; ঘাম
ঝরে দরদর করে প্রশস্ত কপাল
চুঁয়ে চুঁয়ে; যেন কাঁপতে থাকে সারা গা;
বুঝি কেউ পেয়ে যায় টের, এই ভয়ে
সমুদ্রের চোখ মেলে তাকান চারপাশে
লুকিয়ে লুকিয়ে। তবু কেউ বলে ওঠে,
“ভয় পাবেন না, হে বাংলার মহানেতা;
আমরা জীবন দিয়ে স্বাধীনতা এনে
দেবো আপনার দুহাতে।” এতক্ষণে তিনি
পেলেন প্রবেশপথ বুঝি খুঁজে, স্তব্ধ
শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে; ভগ্ন কণ্ঠে
বলে উঠলেন সবার উদ্দেশে: “আমি
ভাবি না কখনো আমার নিজের কথা।
পায় না মৃত্যুর ভয় কখনো মুজিব।
আমি শুধু ভাবি সাতই মার্চের পরে
কী ঘটবে সেই কথা। এরপরও যদি
ক্ষমতা না ছাড়ে তারা বাঙালীর কাছে;
এরপরও যদি প্রত্যাখ্যান করে তারা
আমাদের ন্যায্য দাবি, তাহলে নিশ্চিত
যুদ্ধ বেঁধে যাবে। আমার বাংলার শান্তি-
প্রিয় মানুষকে ওরা কচুকাটা করবে।
আমার স্বপ্নের সোনার বাংলাকে ওরা
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে।”
বলতে বলতে দুচোখ উঠলো ভিজে
মহান নেতার। তা দেখে জনৈক কর্মী
তাঁর, বলে উঠলো নির্ভয়ে: “শুনুন, হে
নেতা, বাংলার মানুষ ভীরু-কাপুরুষ
নয়। বাঙালী মরতে জানে, মারতেও
জানে। আমরা জীবন দিতে হলে দেবো,
তবু মানবো না আর দাসত্ব বিদেশি
কোনো দানবের। শপথ করছি আমরা
আপনার হাত ছুঁয়ে: এদেশকে শত্রু-
মুক্ত না করে বাড়িতে ফিরবো না কেউ
আর।” সমবেত সকলেই করে উঠলো
চীৎকার সমস্বরে-“জয় বাংলা! জয়
বঙ্গবন্ধু।” মৃদু হেসে, বাংলার রাখাল-
রাজা বলে উঠলেন শেষমেশ, “আচ্ছা,
তা-ই হবে। ওইদিন স্টেজের উপর
যারা থাকো, যদি ভুলে যাই বলতে কোনো
কথা, পাশ থেকে স্মরণ করিয়ে দিও।”
সবার মস্তিষ্কে-মনে, কণ্ঠে-উচ্চারণে
নদীর পাঁকের মতো ঘুরপাক খেতে
লাগলো, শুধু ৭ই মার্চ আর জয় বাংলা।
মুজিবনামা মহাকাব্যের ‘সত্তরের নির্বাচনোত্তর পর্ব’; নাম ‘তৃতীয় সর্গ’।