জোছনা ডুবে গেছে সমুদ্রের নিচে,
কৃষ্ণ জলরাশি কাঁপছে থরথর-
মৎস্যকন্যারা ঘুমায় সী-বীচে;
আস্তে ফেলো পা, যাবে যে ভেঙে ঘুম।
জোছনা ডুবে গেলে সী-বীচে আসে তারা,
এলিয়ে দেয় দেহ মুক্ত হাওয়ায়;
যখনি উঁকি মারে আকাশে শুকতারা,
পালায় দল বেঁধে জলের হিমঘরে।
আস্তে ফেলো পা, একটু আওয়াজেই
আঁতকে ওঠে তারা, যেন বা ভীত মৃগ;
একটু জোরে বয় বীচের হাওয়া যেই,
পালিয়ে যায় তারা চোখের পলকে।
যায় না দেখা ভালো রাতের এই ভাগে,
আঁধার গাঢ় হয়ে ফেলেছে ঢেকে সব;
দেখতে পাও যদি তুমি আমার আগে,
দিও হে মোবাইলে একটা মিচকল।
জানতো তারা যদি আমরা কি-সভ্য,
কি-আধুনিক আর বিজ্ঞান-মনস্ক!
হবে না মোটে তারা ভোগের কু-দ্রব্য,
থাকবে রানী হয়ে হৃদয়-সাম্রাজ্যে।
বুঝি না কী আরাম সাগরে ডুব দিয়ে,
নষ্ট করে রূপ চোখের আড়ালে,
জগত জানলো না, কী হবে রূপ দিয়ে-
কবিরা লিখলো না সনেট ভালবেসে!
আমরা কি-ভদ্র, বিনয়ী ও প্রেমিক,
বুঝতো তারা, যদি আসতো কাছে, হায়!
পোষা প্রাণীর মতো আপোসে ধরা দিক,
ঘটবে কি-সহজে বংশবিস্তার।
বংশবিস্তারে আমরা বিশ্বাসী,
নইলে হয়ে যাবে জগতে বিলুপ্ত;
আস্তে পা ফ্যালো, ফেলো না নিঃশ্বাসই-
কী নড়ে ওইখানে- পালালো বুঝি ওই-
যায় না দেখা ভালো রাতের এই ভাগে,
হয়তো এসেছিল মৎস্যকন্যারা;
মানুষ দেখলেই পালায় আগে আগে
অথচ বুঝলো না প্রেমের কি-মর্ম!
২৪.২.২০১৬ সিরাজগঞ্জ