সূর্যের মস্তক ছুঁয়ে
স্বর্গভ্রষ্ট লাবণ্যের
স্পর্শ খুঁজছিলাম!
মেঘেরা উপহাসে হৈ হৈ করে উঠলো
চোখের বিষাদ ধুয়ে
ঐশ্বর্যের ঢেউজল
নীলিমা মাতানো স্বপ্নে
হৃদয়ের ছড়ায় বাহার!
জরা নয়, ভীতি নয় সঙ্গে ছিল শস্য ও মধু
তবুও আমার দুর্নামে
গোটা শূন্যে
কেবল ফিসফিস?
উড়ন্ত সত্য যেন মাতাল জাহাজ,
আনন্দ দুর্ধর্ষ
আসামীর মতো হৃদয় পলাতক।
আল্লাহর ওয়াদাগুলো
বর্ষার ইলিশের মতো
মগ্ন মোহনায়!
কোথাও আভাস নেই,
আর্দ্র প্রভাত নেই
ভোরের সম্ভাবনায় কাম্যমুগ্ধতার
কোথায় তালাশ?
সে কোথায়, আমার বক্ষছেদা অনন্তের নিপুণ হাসি
ও সিংহল, মেসোপটিয়াম!
হাওয়ার পেছনে তবে ছুটি
অরণ্যের তছনছ করি বুক
ভেঙে দেখি ঈগলের ডিম
হাতড়াই গর্ত চাঁদের
ভাওতার তাবৎ তেপান্তর।
পর্বতের উদরগুলো হে প্রভু!
উদোম করে দেখাও।
যেখানে কয়লাআঁধার, দুঃসহ হতাশা
যেখানে বাঘের রোদন
মাটির চামড়ায় ওঠে মর্দনে উত্তাপ
যেখানে হাতির দাঁতে অনাগত আগুনের মতো
ফুঁসে ওঠে ক্ষোভ, সে কী সেখানে?
যাবো আমি, দাও যদি খোঁজ।
তীর্যক ফেণা হে আমায় বলো না মাতাল
মত্তউপহাস যেনো বাজে না বাতাসে
আমারই বেদনার বেগে বৃষ্টির কান্না
চৌচির মাঠে মাঠে ছুটায় প্লাবন।
এখন রোদ, অন্ধকারের পাচ্ছি পবিত্র সাড়া
কানে বাজছে থৈ থৈ সুন্দরের বাষ্পের গান
কাপছে অজর উষ্ণতা সত্তার তৃণমূলে
এ কি আমার সঙ্গে প্রকৃতির মিছে খেল?
যদি হয়, তাহলে নিরর্থক শয্যা বৈ
নিসর্গের থাকবে কিছু?
গোলাপের প্রার্থনা কাতর হয়ে উঠলো
হরিণীর রূপের ঝুল
মেশকের মতো ঝরছে সবুজ থালায়
ছলকে উঠছে রমনীর মতো ঝরনার খুশি
তাহলে কি সত্যিই ঈভকে পেয়ে যাবো?
পৃথিবী হয়ে যাবে বসন্ত ঋতু?