হে চন্দ্র! তোমাকে হ্রদ দেখাবো
তাতে বেদনার কলজেছেঁচা রক্ত
তৃষ্ণার তান্ডবে দাউ দাউ করে জ্বলছে !
তুমিতো লাবণ্যের মুখ, পূর্ণমানুষ নও
তবু তোমাকে আজ বুকের হ্রদ দেখাবো।
গোলাপের সুরভিকে
তুঙ্গউচ্ছাস দিলো যার লবণাক্ত ঢেউ
সত্যের চাদর তাকে বিশ্বাসের মন্ত্রে ঢেকে রাখে!
কখনো দোয়েলের শিসে নড়ে ওঠে
বাতাসের যুক্তিতে
দুলে ওঠে জলরাশি;
সে তো আমারই বিগলিত প্রসার
প্রাচীরের আড়াল থেকে কেউ যাকে
নাম দিয়েছিলো সভ্যতা!
এই যে পৃথিবী, সবুজ স্বাস্থ্যের নরোম
সোচ্চার সুগন্ধি আর
জাকালো বৃক্ষের তন্ময়তা
সবই তো নিস্করুণ, নিস্প্রাণ
চিলের পালক।
শুধু এক প্রেমিক বিহঙ্গ, ঠোটে যার
ঐশ্বর্যের গরিমা উছল!
সারাদিন হাওয়া আর
জাফরানি রোদের পোশাক
সারারাত মসলার ঘ্রাণ
এরই নাম স্বর্গের উজানে
থরথর করে ছুটা
পৃথিবীর শৈশব?
বিহঙ্গ! বিহঙ্গ! তুমি অদেখা অধীর
কোথায় গুপ্ত তুমি
সুবিমল কোন সবুজে?
আমার বন্ধ্যামাঠে তোমার আওয়াজ
শুধু অস্তিত্বের রক্তে তুলে
ললিত স্পন্দন।
এসো এসো
তৃষ্ণার স্তবকে
তোমাকে ছুঁয়েছে সেই স্বর্গচ্যুত প্রেম নিশ্চয়
দাউ তার সুরভি মাতাল।
আমি কতো দীর্ঘশ্বাসে পৃথিবী কাপাই
অশ্রুধারায় ভাসাই প্রান্তর।
ফলত পেয়েছি শুভ্র সাঁতারু সভ্যতা
প্রতিশ্রুতির তিনটি হরফ!
তাকেই রেখেছি জিইয়ে হ্রদের অতলে
সে পৌরুষ ফিরলেই তবে
সম্পন্ন হবে আনন্দআহার!
চাতকি আকুল রক্তে
উন্মুখ তোলপাড় আজ রুদ্রমহারাত
হ্রদের জিয়ল মাছ আর কোটি কাতলার স্বপ্ন
রশ্মিতরঙ্গে মেতে ওঠে
অগত্যা হে চন্দ্র!
দ্রবিভুত অব্যক্ত এক অপেক্ষার চিরসাক্ষী
তুমিই থেকো মনোরম।