অদূরেই বেজে ওঠে হৃদয়ের সুর
মৃন্ময়ী রুমীর ডাক বর্ণমালার মতো কানে বাজে
বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে উছলানোলোভ
তখন কে ঘুমায় রে? কোন গুহাঘরে?
আমিতো দীপ্রব্রাজকের মতো ছুটে যাই
আমার পায়ের স্পর্শে দুলে ওঠে সনাতন ধুলো
বুসিরীর বুর্দাকামী পথিকের কাছে যেনো তার কিছু কথা আছে
আমার গতির ঝড়ে জেগে ওঠে অসংখ্য প্রহর
একরোখা অবাধ্যপ্রহর,স্বর্ণিল সৃজনপ্রহর
প্রহরগুলো প্রকম্পিত কোন এক আশিকের সুগভীর নিঃশ্বাসে
আমার পথের পাশে নদীর ঢেউয়ের মতো নড়ে মহাদেশ
গরিয়সী বাগদপী পথিকের প্রত্যয়ের কাছে
লাজনম্র বধুর মতো যেনো তার কথা আছে
যেনো আর আকাশে জাগা
সদ্যজাত বালকচাঁদের কান্না
থামানো চাই। যেনো তার দিনরাত্রি
প্রেমভাঙা বুকের মতো
বেদনার গর্তে ভরে গেছে।
শস্যের মৌসুম যেনো সংক্ষুদ্ধ যুদ্ধদাহে পুড়ে কয়লা
এখন আমার কাছে মজনুহৃদয় ছাড়া কি আছে দেবার?
কিংবা প্রাণের কবিতা শুনালে সাঙ্গ হবে দায়?
রাতের প্রান্তর জুড়ে কে যেনো গমগম করে হেসে উঠলো
উপহাস কবিতার প্রতি,নিস্করুণ ধুলোর কান্না থামাবে সে?
কয়লায় জাগিয়ে দেবে সজীব উর্বরতা?
আমি তো অবাক, কে রে প্রাণ বুঝে না? কোন গুহাঘরে?
অদৃশ্যের রুমী বললেন-‘যাও সামনে’
যান্ত্রিক সেনানীরা লতাগুল্ম, ধুলোর বুকে এঁটে দিচ্ছে পণ্যের সিল
বাজার গরম করে মেতে উঠছে চাঁদের নিলামে
তখনি বিস্মীত আমি সচকিত ডাহুকের মতো
মুক্তির মন্ত্র তুলি ধুলোবালি, চাঁদে মহাদেশে
নিসর্গে ছড়িয়ে দিই অবিনাশী কবিতার ঝড় !