(এইচ. জি. ওয়েলসকে মনে রেখে)
আমি সীমান্তের সর্বশেষ
পাহাড়ের মাথা থেকে
পা পিছলে পড়ে গেলাম।
গÐারের শিংয়ের মতো রাগী
পাথরের ধারে রক্তাক্ত আমি
গড়ান খেতে খেতে নেমে এলাম নিচে!
আরেক দেশ।
সীমান্তপ্রহরী।
বন্দুক। মারণাস্ত্র।
চেতনা ফিরে পেয়ে আমি যেই
তাকালাম চারদিকে-
একটি নদী ছিলো সামনে
ছলাৎ ছলাৎ পানি, জীবনের দুধ-
ডাকলো, কাছে আয়!
আমি পান করবো পানি
কিংবা আমাকে পান করবে-
নদীর মাতৃস্নেহ?
গেলাম নদীর কাছে
কে জানতো, নদীতীরে-
ঢিবিভরা উঁইয়ের মতো শিবিরভরা সেনা?
তারা আমাকে গ্রেফতার করলো।
সার্চ করলো;
কোনো অস্ত্র পেলো না
গোপন চিঠি পেলো না
গোয়েন্দাআলামত পেলো না।
তাদের চোখ ছিলো একটি করে। সবার।
তারা নিশ্চিত হলো,
আমি না আগ্রাসন, না মরণাস্ত্র।
তাহলে কেন
আমি
অন্যগ্রহ থেকে
এই গ্রহে চলে এলাম?
আমি কি মহাজাগতিক বিপদসঙ্কেত?
রাজা-উজির
গোয়েন্দা-ডাক্তার
পাদ্রী-পুরোহিত
বিবিসি,প্রথম আলোর টাইমলাইন
এই গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসায়
থরথর করে কাঁপতে লাগলো!
তাদের বুদ্ধিজীবী ছিলো
পেটের আদেশে চলে মাথা!
তাদের দার্শনিক ছিলো
জিজ্ঞাসাকে বন্দি করা যার কাজ!
আমাকে রাজদরবারে নেয়া হলো-
তাদের রাষ্ট্রপ্রধান-এক চোখ!
তাদের বিচারপতি-এক চোখ!
তাদের ধর্মগুরু-এক চোখ!
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে,
কেন ও কীভাবে আমি নিজের গ্রহ ছেড়েছি!
শেষ অবধি
আবারো তল্লাসী করে
আমার চেহারায়
দেখা গেলো চোখ দু‘টি!
এবং
বুদ্ধিজীবী
ধর্মগুরু
রাজনীতিক
বিচারপতি
সেনাপতি
একমত হলেন-
আমি এক রোগী
কারণ, আমার চোখ দু‘টি!
একটি চোখ, আরেকটি টিউমার!
এ কারণে দেখি কম, পথ ভুলে
ভুল গ্রহে চলে এসেছি!
সদয় মন্ত্রীপরিষদ আমার টিউমার
অপারেশনের নির্দেশ দিয়েছেন!
মন্তব্য করুন