ট্রেন ছুটলাম গভীর রাতে রহস্যের সুর তুলে
গন্ধবহ উদ্দাম ঝড়ে নির্জনতা মাঠে মাঠে ছড়ানো ভাঙা ডিমের মতো
মানবমহাবনে মাতৃক্রোড়ের মতো লুটিয়ে পড়লো কাল মহাকাল
হাটাচলা করে প্রশান্ত মেঘের পাশে বসন্তের ভোর
গলে যায় জ্যোৎস্নার ঘোড়া।
অনুরাগ ঝরে মাতৃদুগ্ধ; দিগন্তের অধিকারে মুগ্ধপলিতে
ট্রেন ছুটছি সুগভীর, নিস্তব্ধ মোরাকাবার প্রগাঢ় শিহরণে
ট্রেন ট্রেন! অ¤¬ান কোকিলের মনে রুমীর মত্ততা আর
শীতার্ত বৃক্ষের গায়ে বৃষ্টিধারা ঢেলে অদৃশ্য বাঁশবনে
তোলে প্রিয়তার ঢেউ। পিছনে পিছনে আসে শেষরাত্রির প্রেমিক
রক্তশূন্য, মদশূন্য
মহারসিকের টানে, শিরায় শিরায় আলোর হু হু, ঘ্রাণ !
কণ্ঠ তার কল্লোলিত অপার্থিব সুরে
কামনার ঢেউয়ে ঢেউয়ে সৌরলোক হাসে
তৃষ্ণায় ছাইপোড়া কলব চাই হায়!
আদিনক্ষত্র কাঁপে জলপাই পাতার মতো, প্রার্থনায়
ট্রেন ছুটছি, সামনেই মঞ্জিল
হার্দিক হুইসেলে মাটির বিদ্যুতে জাগে ফেনিল দাবিনামা
‘কী চাই মাটির’
আকাশের চারদিক কেঁপে শিরিন ধ্বনি ওঠে
মানুষের স্টেশনে নামো অনন্তের শ্লাঘা
সূর্যের সৈকত এসো চুপ করে শৈবালের পাশে
চুম্বকদিগন্তে ঐ সচ্ছল ঘাস, কেউ তার বুক মাড়িয়ো না
আর যিনি মহিয়ান, সত্তার ওয়াদাসহ
পাঠাতে হবে দূত। আদমের চর সাক্ষি
কলবের উল্লাসে নীলিমা হবে জিলানীর নিঃশ্বাস
ট্রেনের ঝরোকা থেকে উড়বে প্রাণের পাখি কুসুম জিকিরে।