নিঃস্পন্দ শহর ।
সময়ের নিশ্বাসগুলো
গন্ধপুষ্পের নিগুড়তায়
লুটিয়ে পড়ছে!
অতৃপ্ত ছলছল দীঘি বুকের আবেগ লুকিয়ে
থেমে গেলো হঠাৎ :
যেনো কে আসবেন!
পিছনে শহর
ইন্দ্রজাল হৃদ্যতার টানে ছুটছি পথিক
রাত্রি মুখর করে বিবসনা লোভ
নদীতরঙ্গের মতো ডেকে ওঠে – ওগো
বিমুগ্ধ শব্দের দোলে অলস রাত্রিতে ওঠে তুঙ্গউচ্ছাস
তারল্যের মায়া ডাকছে কামগন্ধে আমাকে
আর সুরভিত হৃদির দিকে আত্মার জলবায়ু
মস্তিস্কে তোলপাড় উঠলো কোথায় যাবো?
এশিয়ার মানচিত্র কাঁপলো প্রশ্নের স্পন্দনে
ধুসর মদের মতো টগবগ
করে উঠলো আমার মগজ
জিজ্ঞাসার দংশনে চেতনার চাদর ছিড়ে গেলে
জ্যোৎস্নার দিগন্তে আমি লুটিয়ে পড়লাম
কামনার মস্তকে পা রেখে আমার ভিতর থেকে
জেগে উঠলো চিরায়ু আরেক আমি
তখনি আকাশের জানালা খুলে কে যেনো
গতির তরঙ্গে মহাশূন্য কাঁপিয়ে তুললো
তার সত্তার সুরভিতে মরমী মহিমা
জীবনের নিসুপ্তজলে জাগায় জলপ্রপাত
সময়ে সমাহিত আমি অমীয় ঝংকারে
বাসন্তিপল্লবের মতো যুগযুগান্তসহ নৃত্যপর
যেনো আত্মার গৌরবে মৃতপ্রান্তরও
লাফিয়ে উঠবে সময়োত্তর সুন্দরে
চেতনাসাগর আর আয়ুর আয়াত
ছড়িয়ে আদিগন্তে, রহস্যের কবি
নিখোঁজ! নিখোঁজ!
অতঃপর পরমপ্রান্তরে দেখি স্বর্গচ্যুত প্রথম আত্মার মতো
আমাকে ঘিরে থাকা সত্যসন্ধ মানুষের মহাদেশ মতো