বাতাসের শোরগোলে টেবিলের স্থিরদৃষ্টি রাস্তায় বেরিয়ে আসি
দেখি রহস্যমানুষেরা এসে ভিড়েছে চৌরাস্তায় চায়ের দোকানে
চায়ের কাপে বিদ্যুৎ আর জ্যোৎস্না। যেদিকেই চোখ যায়
নরনারী অবিরত তারকার মতো প্রাগৌতিহাসিক চালে
মার্চপাস্ট করছে শহরময়
অতীত সরোবর থেকে তরল শীতলতা চারদিকে ছিটায়,
গুড়োঁইটের মতো ছিন্নভিন্ন কষ্টেরা তাদের চোখে মুখে নিস্করুণ
নড়ে ওঠে। যেনো চাঁদের চামড়া ছিড়ে ঝরা রক্তে অদৃশ্য
আগুন কেউ লাগিয়েছে।
যারা চায়ের দোকানে বসেছিলো চা-ঘরে গাম্ভীর্য রেখে
বেরিয়ে গেলো। তাদের আহ্বানে মহানগরীর সমস্ত মিছিল
এসে ওসমানী উদ্যানে উতলে উঠলো, যেনো শোকের গর্জনে
গোটা উদ্যান মহাকালের দুন্দুভি হয়ে যাবে।
ধীরপায়ে উদ্যানে গেলাম। মেঘের মাতামাতির মতো
রহস্যমানুষেরা বিবৃতি দিচ্ছে- প্রীতির এক ফোটা পানিও
নগরী তৃষিত তবু নিলো না বুকে, দুরূহ একুরিয়াম ছাড়া
আমাদের শিল্পগীত ব্যাপ্তি পেলো না, আত্মার করুণ ডাক
চুনসুরকির আস্তরণে রোদন করেছে শুধু, আমাদের সকল গর্ব
শব্দ আর ছবির খোপে আবদ্ধ হয়ে গেছে, যেভাবে বৃক্ষের শব
এই উদ্যান, তেমনি চিত্রপ্রদর্শনীগুলো ঐতিহ্যের মৃত্যুচিহ্ন।
একটি দরাজ কণ্ঠে সবাই উন্মুখ হলো- অতএব এসো
সুন্দরের গেরিলারা! চলে যাই।
যারা চায়ের কাপে জ্যোৎস্না নিয়ে
দুর্নীতি করে তাদের নিলাজ শহর জীবন্ত লাশের জঙ্গল ;
সে হাসুক বস্তুর দম্ভে উন্মাদ সভ্যতায়!
তাদের কোমল ডানাগুলো হাওয়ায় সাঁতরালো
আর লাশের অট্টহাস্যে ঘুরলাগা নগরীতে সময়ের নদীস্রোত কেবলই কাতরালো!
মন্তব্য করুন