বৃক্ষেরা, তারার মহল্লায় দেখো সংঘর্ষ সুন্দরের
আগামী সুন্দরের সাথে লড়ছেন
অতীত সুন্দর !
মৃত্তিকা থেকে ঝরছে ঘামের শিশির ভূতল মৃত্তিকায়
মাঠ হয়ে যাচ্ছে কারুকাজ-
ফোটা ফোটা সুন্দরের রক্তে !
সময় ভিজিয়ে দিচ্ছে নীহারিকার কল্যাণাশ্রু
সময়-লালশিখা অশ্ব ধুসর কিংবা স্নিগ্ধ দূর্দান্ত
ঝাঁপিয়ে পড়ে চাঁদের মঙ্গলমনোবনে
পাখির চঞ্চু বাতাস ভরে তুলছে
সংঘর্ষের বৃত্তান্তে
সতেজ উষ্ণতা এসে জড়িয়ে ধরছে নির্জন আর
রুদ্ধশ্বাস হরিণীর সামনে প্রাচীর;
জ্যোৎস্নায় ঝলসানো শিংয়ের ঝনাৎকারে
যুগের ব্যাঘ্রকে সে শিউরে তুলছে দারুণ
রুখে দাঁড়িয়েছে সুইসাইড।
হেসে ওঠে অতীত সুন্দর, সময়ের মৃগপিপাসা।
হরিণ তো অবাক, হাসছে না আগামীর সুন্দর!
বৃক্ষেরা দেখো! মজলুম অন্ধকারের ভেংচিকে তোয়াক্কা করবে
ভুলে গেছে। তার মর্মাগ্নি ইতিহাসে
ছড়িয়ে দিচ্ছে গরিমা!
নিঃশ্বাসে ফসলী মাটের মত মৌ মৌ করছে মহাশূন্য
ক্ষুধাকে দেখিয়েছে সে প্রতিজ্ঞার বল, শরণার্থী, ক্ষতবিক্ষত,
কুলির পানিতে
নদীতে জাগিয়ে তুলছে আত্মার লংমার্চ !
সে চাতক, সুন্দরের যৌবনকে রক্তে রৌদ্রে পললে
বৃষ্টির মতো চায়, আগামীর।
নতুবা খাঁ খাঁ প্রান্তর
পুড়া গাছপালা,
বুকের প্রান্তরে শস্যের আসবে না পৌষমাস!
যৌবন আকুতির পাখির মতো মরিচিকা ভাঙে
মেঘের চুলের ওঁমে ক্লান্তি ঝাড়ে, ইষৎ দেখা যায়
অতীত সুন্দর, সুস্পষ্ট, সৌম্য, ব্যাপ্ত, কাল তার আকাশে
মেখে দিয়েছে দাড়ির ধবল। আগামী আবৃত, মেঘের আড়াল থেকে
সহসা আক্রমণে রাতের তেপান্তরে সূর্যের নাড়ায় ভ্রুণাভাস,
দাঁড়ায় মৃত্যু এসে করজোড়ে গম্বুজের নিচে
বৃক্ষেরা দেখো, প্রত্যাশার ফুলগুলো উন্মুখ, একটি আশ্বাস
তাদের শতাব্দীকে দীর্ঘশ্বাস করে দেয় ঘূর্ণির, আর
বন্দরের পলিভ‚মি কয়লা বেদনার।
এখনি পৃথিবীতে পলি ও বৃষ্টির প্রণয়
ভাত ও তরকারির মতো অপরিহার্য।
আর মৃগের ইপ্সিত হাসি,
জীবনের অনিবার্য যৌবন …
হে অতীত সুন্দর! নির্বিরাম করো তাকে
আকুল আঘাত। আমরা অভিযানে চলছি
পদক্ষেপে উস্কে উঠছে ঝড়, মেঘ ভেঙে বেরিয়ে আসবেন
নিশ্চিদ্র তিমির ফালিফালি করে সত্যাস্ত্রে, তিনি !
তারপর পৃথিবীটা ভোর।