মুসা আল হাফিজের কী হয়েছে, কেউই বলতে পারছে না
তসবিহদানা গোণে
তার মা
কামনা করছেন সুস্থতা!
মধ্যবিত্তলাঙ্গল টেনে টেনে
ক্লান্ত পিতার
দীর্ঘশ্বাসে
উত্তপ্ত পুত্রস্নেহ!
ডাক্তার দাওয়াই দিয়ে চলে গেছেন শহরে
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির মতো আরোগ্যকামনা
বর্ষিত হচ্ছে তার নামে
আহা! বেচারা নীলিমার ইশকুলে
নৈসর্গিক পরীক্ষাটা এবার দিতে পারলো না!
আগরপুরী কবিরাজ বলেছেন- তার সাথে
একদল বদজীন খেলা করে
হায়রে বদজীন! যতোদোষ, নন্দঘোষ!
প্রাগৌতিহাসিক কাল থেকেই তোমরা
প্রতিটি রোগের আড়ালে খেলা করো।
তোমাদের সাথে খেলতে পারলে ভালোই মজা হতো
না, কোনো জীন নয়, তার সাথে
খেলা করে পৃথিবীর সব নদী, রাজপথ,
সমুদ্র পেরিয়ে আসা দুরন্ত ভালোবাসা
বুকের কাপড় ছড়িয়ে মনের উদ্যানে
লালসূর্যের মতো
ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোরে বিকালে
তারপর তার শৈলী বাঘের
নয়নে তোলে লোভের আগুন।
আপনা মাংসই যার বৈরী এখন
যা কিনা অচিরেই বাঘ কিংবা শিকারীর
লোভের পুকুর ভরে দেবে!
মা!
তোমার সাধের ছেলে পরাজিত হতে হতে
ইতিহাসের নদীর মতো
নিঃশব্দ হয়ে গেছে!
মুগ্ধপদশব্দ ভুলে হাওয়ার প্লাবনে উড়ে পরাজিত হয়
জ্যোৎস্নার মাখন খেতে খেতে
ধীরে ধীরে গিলে ফেলে
বেদনানীল আস্তপাহাড়!
আকাশে বাতাসে ছুটে
সীমান্ত ভঙ্গ করে
আলো আর কালোর উজানে
নরক তো চাই না তার চাই না স্বর্গও!
শুধু এক শাশ্বত শ্বাশ্বত!
মুসা আল হাফিজ কোনো
রোগাক্রান্ত মানুষের নাম নয়
যদিও তুলোর বালিশে মাথা রেখে
ছটফট করছে ক্রমাগত !
একটু পরেই টিনের চাল থেকে
লাফ দিয়ে মেঘের শীর্ষদেশে চলে যাবে
আবার মরমীনাভিমূলে
জীবনের মন যদি হেসে ওঠে –
লাফ দিয়ে নেমে আসবে
নদীমাতৃক সবুজের উৎসবে;
যেখানে মসজিদে মসজিদে বাজে খিলখিল আজান
মসজিদ লোকদের ডাকে
আদিঅন্তহীনতায় নাই হয়ে যেতে
আর মুসা আল হাফিজ সেজদায় গিয়ে নাই থেকে আছি হয়ে যায়।