হৃদয়ের গভীর প্রদেশে বৃক্ষ আর পাথরের নিশিতে বিচরণ করেছি
বিচিত্র ফুলকে জেনেছি ভাই, সবুজ পল্লবকে পরমাত্মীয়
খেলেছি সুগন্ধি হাওয়ার হিন্দোলে
জলের কথা আর বলো না
সাগরের গহীনে কতোবার লুকিয়েছি ঝিনুকের মতো
কতোবার সমুদ্রকে সত্ত্বার সঙ্গে মিশিয়েছি দূর্বার আরামে
সমুদ্রতলের বৃক্ষ পাহাড় আর হর্ষের মৎসেরা জানে
আমি জলের ইবনে বতুতা
আকাশেও ছুটিয়েছি গতির বলাকা, মেঘের বুকে রেখেছি পদচ্ছাপ
মানুষের জয়গাঁথা ছড়িয়ে দিয়েছি ইথারে ইথারে
দ্যাখো, অন্তরীক্ষে কীভাবে কবিতা আবৃত্তি করছে আমার প্রচ্ছায়া
তারকা আমাকে জানে মজনু-মাতাল
আকাশ আমাকে জানে প্রশান্ত আগুন
ফেরেশতা আমাকে জানে অক্লান্ত পথিক
যে কেবলই হামাগুড়ি দিচ্ছে জীবন থেকে জীবনে আর
মৃত্তিকায়, মহাশূন্যে, জলে, বাতাসে – সর্বত্রই আবিষ্কার করছে
অবিশ্বাস্য শাশ্বত পুষ্পঘ্রাণ
তার মর্মের গূঢ়রহস্য নিখিলের সমস্ত সত্যের সাথে
চৈতন্যের পরাক্রমে নদী হয়ে বয়ে চলছে
নদী বইছে, শুনা যাচ্ছে অনন্তের তুহিন সংলাপ
নদী বইছে, শুনা যাচ্ছে অবিরল বিজয় সংগীত
নদী বইছে, তরঙ্গে কান পেতে শুনলাম বয়ে চলছে তোমার হাসি
তোমার হাসির সাথে এই দিন এই রাত
এই জন্ম এই মৃত্যু, এই জ্যোৎস্না এই রোদ
অন্তহীন প্রেমে করে চিরসন্তরণ
আমার কবিতা সেই সাঁতারের ঢেউ