শূন্যতার ঘূর্ণিঝড় আমাকে আছড়ে ফেলতে চায় সূর্যের পাটাতন থেকে
বালির সায়রে । আহা! মরুভূমির আগুনে মরুদ্যানের
কতো না বাসর সাজালাম!
যেখানে মানুষের পা সেখানেই উদ্ভাবন!
হে বস্তুর কংকাল থেকে বেরিয়ে আসা বুদ্ধিমান অবতার!
তোমার হৃদয়রিক্ত দর্শন কি জীবনের অভিশপ্ত মরুভূমি নয়?
অপেক্ষা করো, মরুভূমিতেই ফুটিয়ে তুলবো সুন্দরের চামেলি -গোলাপ!
তোমরা কেউ ভেবো না, সমুদ্রের তরঙ্গ ঠেলে স্বপ্নের সৌরভ নিয়ে
বয়ে চলা বিদ্যুৎটিকে গিলে ফেলবে কালোঝড়
ভেবো না, বাতাসের বুকে হবে পাখির শোকসভা
ভেবো না, সুন্দরের হৃদপিণ্ডকে জবরদখল করে
পার পেয়ে যাবে যায়নবাদ!!
ক্ষত-বিক্ষত চাঁদকে শিঙের মাথায় নিয়ে
মেঘের উপর দিয়ে দৌড়াচ্ছে রুদ্ধশ্বাস হরিণ
ভেবো না তাকে গ্রাস করবে বাঘের আগ্রাসন
বর্ষার আকাশ থেকে ঝরে পড়া কাদায় ঢেকে যাচ্ছে সুকৃতির ত্বক
বিগত প্রহরের বোমাবর্ষণে গর্ভের শিশুদের নিয়ে শান্তির মতো
ভস্ম হয়ে গেছে গাজার শরীর
বিদ্রোহী চাঁদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে মানচিত্রের খেতখামার
আশ্চর্য রক্তের পূণ্য গেরিলার মতো ছুটছে নির্বাসিত সুন্দরের কাছে!!
ভেবো না স্বাধীনতাকে চোখ বেঁধে মৃত্যুগহ্বরে নিয়ে গেলেই
জিতবে ওরা আর জ্যোৎস্নার শাড়ি পরা জননীর চোখ দুটি ঠুকরাবে শকুন
যদিও কবিতার কলজে পুড়ায় মদমত্ত সভ্যতার কামান্ধ আগুন
তবুও এখন দুঃসময় নয়
কারাবন্দি বসন্তকে ক্রসফায়ার করে মাটিচাপা দেয়ার ফিসফিস চলছে
হেডকোয়ার্টারে, অন্ধগলিতে সম্ভ্রমকে ফেলে দেয়া হচ্ছে
শুয়রের সামনে এবং লুঠের মালের মতো সস্তাদরে
বিক্রি হচ্ছে বিবেক, এখানে- ওখানে
তবুও এখন দুঃসময় নয়
কে বলে এখন দুঃসময়?
জবরদখলকৃত হৃদপিণ্ড, মৃত্তিকার জ্বলন্ত মুখ আর
চাঁদের ফিনকি দেয়া রক্ত দীপ্তিমান সুন্দরের আহ্বানে
তুমুল তুফানের মতো ধেয়ে আসছে অন্ধকারের সকল আস্তানায়
সময় লেখছে অনিবার্য প্রত্যুষের দেয়ালিকা