সাত শ ‘ কোটি মানুষের জীবন যাপনকে মাথায় নিয়ে
দুঃসময়ের পাথর ঠেলে আমাকে জাগতে হলো সচকিত জননীর মতো
আমাকে জাগতে হলো , কারণ পৃথিবী তালুক নয় কারো বাপের আর
মানুষ কোনো পণ্য নাকি যে তাকে নিয়ে দাবা খেলেছো পুঁজির স্বেচ্ছাচার ?
ইতিহাসের ললাট পেচিয়ে ফুঁসফুঁস করছো বস্তুর পুরোহিত !
সেক্যুলার শকুনে চড়ে আকাশের দিকে তেড়ে যাচ্ছো
ঔদ্ধত্যের শ্বেতনমরুদ !
চড়চড়ে বারুদে প্রস্তুত হচ্ছে বিশ্বায়নের খেত
রক্ত আর তেল দিয়ে সিক্ত বীজতলা
খুলির ‘ উত্তম সার ’ ছিটানো হচ্ছে খুবই আহ্লাদে
এখানেই চাষ হবে প্রগতির চারা আর
ভোগের স্বাধীনতা ! আহা স্বাধীনতা !
সূর্যের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে ধৃষ্ট অবরোধ,
পৃথিবীর কোথাও সে অন্ধত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না
জীবনের আযান দিয়ে জাগাতে পারবে না কোন আত্মাকে
সূর্যের আযানই নাকি হামলাবাজ বিশ্বাস !
আমাকে জাগতে হলো কারণ ফরমান জারি করেছো
উদয়াস্তের কোথাও হাসতে পারবে না কোনো ফুল
স্বপ্নের ডালে বসে হরষের পাখিগুলো গাইতে পারবে না গীত
মোহরাঙ্কিত পানীয় ছাড়া জলের তরঙ্গ নিষিদ্ধ আর
কোনো নদী কোথাও নিজস্ব নিয়মে বইতে পারবে না ।
আমি উঠছি , কবরের মাটি ঝেড়ে
লাফিয়ে লাফিয়ে জাগছে জীবন্ত প্রোথিত সব শিশু
আমি ছুটছি , ইতিহাসের লোনা জলে ডুবে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ আর
কবিতার বারোটি পঙক্তির উপর দিয়ে বাধার সমুদ্র
পার হচ্ছে মানুষের মহাস্বাধীনতা
আমি ফুটছি , সূর্যের আয়াতগুলো জীবনের ঝংকারে
হাসির দানার মতো ছড়িয়ে পড়ছে প্রকৃতির প্রাণে ।
তারপর পৃথিবীটা প্রেমের সংসার
আমার নিঃশ্বাস থেকে কালের প্রান্তরে
জ্বলে উঠলো সুগভীর বিজয়ের শিখা
আমার বিশ্বাস থেকে সমস্ত আত্মার পাখি
মহাকালে জিকির করছে স্বর্গীয় মৌতাতে