আমাকে কেবল
হিংসাহীন শত্রুমিত্রহীন বোধে শুধু এক কোমল করাত
রাত-দিন দিন-রাত আরোগ্যের দিকে টানে।
শিয়রের কাব্যগ্রন্থ মলাট-বিহীন, টেবুলের নানা আকারের শিশি তন্দ্রাতুর স্বপ্নময়।
এই বৃষ্টি, এই রাত, মনে নেই কতোই শ্রাবণ।
মনে হয়, আমি আজ বুঝে গেছি সুপ্রাচীন কবিদের একান্ত অপ্রকাশিত অভিমান,
তাহাদের সুজাসুজি দর্প, অহংকার,
অতি তুচ্ছ ভুল বোঝাবুঝি।
লিপিকার গায়েনের সাথে অসহিষ্ণু খিটিমিটি
তাহাদের আনুপূর্ব ইতিহাস, জেনে গেছি আজ,
আজ বৃষ্টি, আহা আজ কাঁদুক আকাশ।
তাহাদের স্বপ্নের ভিতরে কোন শব্দে স্বপ্নের আবহ বেজেছিলো?
কার সুরে?
কী ভাষায়?
মানুষের? না পাখির? মেঘের? নদীর?
নাকি ফোকের সরল বাঁশি
কেঁদে কেঁদে ফেলে গেছে আধোয়া জামায় মোছা
লেপ্টে যাওয়া দু’চোখের জল।
ধোঁয়া ধোঁয়া ছায়া ছায়া কাঁপা কাঁপা শরীরের আয়োতন নিয়ে
সরল উত্তর তার বেজে যায়।
মনে হয় কিছু তার বুঝি, যে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
মাথা কুটে মরেছেন তার কিছু আমি আজ পেয়ে গেছি
বৃষ্টি-ভরা, দৃষ্টি-মেলা শ্রাবণের রাতে।
সে কি কোনদিন বলা যাবে? কোনোদিন বলা হবে মানব-ভাষায়?
নাকি সেও রাতের রহস্য হ’য়ে অন্ধকারে পাড় বুনে যাবে?
শুধু আমি, জীবিত জনেরা, তার পিছে পিছে কাঙালের মতো
লেগে থাকব আমরণ নিয়তি পীড়িত।
Like this:
Like লোড হচ্ছে...