প্রেম অপ্রেমের ব্যাবধানে / জাহিদুল ইসলাম

আমার মলিন চুল নিয়ে তুমিও হেসেছো
শুকনো ঠোঁট দেখে উপহাস করেছো কতই
চোখের নিচে কালি পরেছে
তুমি তাকে সানিলীয়নের আশীর্বাদ বলে আখ্যা দিলে

না বন্ধু না
এভাবে বলো না
পৃথিবী সবাইকেই  উজাড় করে দিয়েছে
শুধু সময়ের ব্যাবধানে

তুমিও তো এক নদী
সব নদী সাগরের সন্ধান পায় না, জানো-তো তা!
এ আমার অভিশাপ নয়
বোতাম আটা বেদনা  নয়
এ হল পৃথিবীর নিয়ম
প্রেমে পড়লে তোমার চুলেও কাকের বাসা হবে
ড্রেসিং ট্রেবিলে রাখা  ক্রীমগুলো কৌটাতেই পড়ে রবে
শুধু তোমার সময় নেই নিজেকে  কৃত্রিমতায় সাজাতে

তুমি যেদিন সত্যিকারের প্রেমে পড়বে
সেদিন এই আমাকেই তোমার ঈশ্বর মনে হবে।

ইচ্ছে / জাহিদুল ইসলাম

যদি বা নদী হতাম
আমার বুকে তোমার সর্বাঙ্গ ডুবিয়ে
সাঁতার কাটতে
আর
গা কছলে কছলে গোসল করতে
আমার চঞ্চলতায়
ভেসে যেতো তোমার আঁচল
নাটোরী কাঁচা গোল্লার মত
তোমার শরীরে
আমার পুরুষী স্পর্শে
ঠোঁট টিপে টিপে হাসতে
লজ্জায় দুচোখ ঢাকতে তুমি
আর……
আমি…..
পুংখানু পুংখ বিশ্লেষণ করে
জানতাম তোমাকে
তুমি কত অপরূপ

সাধ / জাহিদুল ইসলাম

দুই পয়সার কাপড়ে
দশ পয়সার শরীর ঢেকে
পৃথিবীকে অন্ধকার করে
রাখ কেন চাঁদ।

তোমার লাল নীল গহ্বর
ছুয়ে দেখার আমার
অনেক দিনের সাধ।

প্রেম অপ্রেমের ব্যাবধানে / জাহিদুল ইসলাম

আমার মলিন চুল নিয়ে তুমিও হেসেছো
শুকনো ঠোঁট দেখে উপহাস করেছো কতই
চোখের নিচে কালি পরেছে
তুমি তাকে সানিলীয়নের আশীর্বাদ বলে আখ্যা দিলে

না বন্ধু না
এভাবে বলো না
পৃথিবী সবাইকেই  উজাড় করে দিয়েছে
শুধু সময়ের ব্যাবধানে

তুমিও তো এক নদী
সব নদী সাগরের সন্ধান পায় না, জানো-তো তা!
এ আমার অভিশাপ নয়
বোতাম আটা বেদনা  নয়
এ হল পৃথিবীর নিয়ম
প্রেমে পড়লে তোমার চুলেও কাকের বাসা হবে
ড্রেসিং ট্রেবিলে রাখা  ক্রীমগুলো কৌটাতেই পড়ে রবে
শুধু তোমার সময় নেই নিজেকে  কৃত্রিমতায় সাজাতে

তুমি যেদিন সত্যিকারের প্রেমে পড়বে
সেদিন এই আমাকেই তোমার ঈশ্বর মনে হবে।

তোমার বুকের মাটি / জাহিদুল ইসলাম

এ মাটি কত উর্বর
তা কে জানে
আমি ছাড়া
আমি এ মাটিতে
বানিয়েছি ঘর
বুনেছি ধানের চারা

এ মাটি কত উর্বর
তা কে জানে
আমি ছাড়া

এ মাটিতে নেই
আমার অবুঝ ছেলে বেলা
নেই কৈশরের হেলা ফেলা
এ মাটিতে মিশে আছে
প্রথম যৌবন
আমার তারুণ্য
যা তোমার রূপরস থেকে
আস্বাদন করেছি গোপনে
আর বেড়ে উঠেছি বটের মত
দিনমান সারা

এ মাটি কত উর্বর
তা কে জানে
আমি ছাড়া।

আঙুর অনেক টক / জাহিদুল ইসলাম

আর কখনো দেখা না হোক-
রাজপথে,
অথবা নাটোরের সফেদ
কাঁশবন,
কিংবা
আত্রাই নদীটির রথে;
ঘুমিয়ে থাকুক মৃত
মানুষের মত ব্যাথা-শোক
পঁচে যাক মিশে যাক
কামনার যত জোঁক।

সূর্যকে ছোবার অনুপ্রাসে
অবারিত অবাধ্য আভাসে
যে মেঘ উড়িয়ে দিল ডানা
পুড়িয়ে দিয়েছে তাকে সূর্য
আছাড় মেড়ে ফেলে দিয়েছে
স্যাঁতসেঁতে মাটিতে
পুস্তকে মেলে তার প্রমাণ
বিজ্ঞান আমার সব কুসংস্কারগুলো ভীরু করে-
তুলছে আস্তে আস্তে
কাঁপছে আমার শরীর
ফেলেছো এ কোন জাল
আমি পরাজিত শেয়াল
নামিয়ে নিচ্ছি দুচোখ
আর কখনো দেখা না হোক

সে দিনের সে সিঙ্গাড়া / জাহিদুল ইসলাম

[প্রথম যৌবনের কবিতা]

সে দিনের সে সিঙ্গাড়া, যা তুমি আমাকে দিয়েছিলে
আর বানরের মত পুরোটা আমি একা খেলাম।
তার সমস্ত শরীর জুড়ে কামিনীর মত গন্ধ ছিল
কি যে স্বাদ ছিল মাংসে। সিন্ধু অববাহীকার সেই
হরপ্পা মহেঞ্জদারো নগরীর মত তার রূপ,
রাজপ্রাসাদের মত পরিচ্ছন্ন পরিপাটি বেশ।

আল্পনা আঁকা কপাট যেন তার সারা বুক
ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় ঝকমকে করে ছিল মুখ!

পীচ ঢালা পথ ঘেসে ফুটপাতে শুয়ে থাকা কিছু –
হাড্ডিসার কীটেদের চোখে এই সিঙ্গাড়ার ছবি
ওরা হাত পেতে ছিল কি যে হিংস্রতায়- করুণায়
আঙ্গুল দেখিয়ে আমি পুরোটা একা একা খেলাম।

মুহূর্তেই হরিণের মত তারুণ্য করি অর্জন,
আমার নির্বান হয়। যৌবন করে ওঠে গর্জন!

তুমি ফিরে এস এই পথে / জাহিদুল ইসলাম

আবার সময় করে
তুমি ফিরে এস এই পথে
ইচ্ছে হয় যদি
আমি তোমার আসার পথে
চেয়ে রব যুগ যুগান্তর
মৃত মিষ্টিকুমড়া
বুকে চেপে ধরে
নেব তার স্বাদ – গন্ধ
মাকড়ের মত জাল পেতে
বসে রব নিরবধী
তুমি ফিরে এস এই পথে
ইচ্ছে হয় যদি

বয়স যখন পঁচিশ / জাহিদুল ইসলাম

ওই যৌবনা চাঁদ
তার জোছনার সায়রে
সবাই কে ভাসিয়ে আনন্দ পায়
ডোবাতে চায় না

উপমায় ভুল ছিল
ভুলতো হবেই
তখন বয়স যে সতের
পাঠশালা থেকে কেবল শিখেছি
নদীর তীরেই সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে
আর
আজকে জেনেছি
সব নদী মা হতে পারে না!

তাই তোমার উপমা খুঁজতে গেলে
মনে পড়ে
হোয়াংহো নদীর কথা
সাইক্লোনের কথা।

কে তুমি রূপসী / জাহিদুল ইসলাম

কে হে তুমি
এমন করে মাথায়
আমার হাত বুলাচ্ছো
আমার মুখে-শরীরে
চুমু দিতে দিতে
বুকের ঘুমন্ত লোমগুলো
জাগিয়ে তুলেছো
কে হে তুমি,
রুপালী রুপসী মেয়ে।

সহস্র বছর আগে যে প্রিয়া আমার গিয়েছিল
নক্ষত্রের দেশে
ভালোবেসে
তুমি কি সে?
আবার ফিরে এসেছ
আষাঢ়ে মেঘের বেশে।

Create a website or blog at WordPress.com

Up ↑

%d bloggers like this: