যে কথা বলতে প্রাণ দিলো আবরার
সে কথা ফুটুক জনতার মুখে মুখে
খুণিরা জানুক মৃত্যু আনে না ভয়
শহীদের খুণ ঠেলে দেয় সম্মুখে।।
07.10.19
যে কথা বলতে প্রাণ দিলো আবরার
সে কথা ফুটুক জনতার মুখে মুখে
খুণিরা জানুক মৃত্যু আনে না ভয়
শহীদের খুণ ঠেলে দেয় সম্মুখে।।
07.10.19
দুমড়ে মুচড়ে স্বপ্নের মালা, আকাশ ছোঁয়ার সাধ
প্রিয় বাবা, তুমি প্রস্তুত করো তোমার চওড়া কাঁধ।
আগে চড়েছিল ছোট্ট আমিটা, এবারে আমার লাশ।
মুখোশে মুখোশে মানুষের সাথে শুয়োরের বসবাস।
(হাফেজ মাসুদুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ডের পর মানবাধিকার গোষ্ঠি এবং সাংবাদিকদের ভূমিকার প্রতিবাদে। কবিতাটা তাদের জন্য নয় যারা সত্যিকার সৎ এবং নিষ্ঠাবান)
এরপরও যদি কোনো মানবাধিকার কর্মীকে দেখতে পান
আপনাদের উঠোনে, বাড়ির আনাচে কানাচে
কিংবা মহল্লায়; পাছার উপরে কাঁচা কঞ্চির দু’ঘা বসিয়ে দিয়েন।
ওরা বলতে চায়, ওরা নাকি মানুষের কথা বলে
অথচ যখন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো তখন ওদের মুখ থেকে টু’শব্দও বের হলো না…
শকুনের মতো ওরা খুঁজতে থাকলো মরা গরু!!
এরপরও যদি কোনো সংবাদকর্মী দাবি করে বসে
পৃথিবীর তাবৎ নিরপেক্ষতার সনদ সাজানো আছে তাদের অফিসে;
তবে তার মুখে গুঁজে দিয়েন টয়লেট টিস্যু।
ওদের কলমগুলো কেড়ে নিয়ে তুলে রাখুন, যাতে
আর কোনো মিথ্যে সংবাদ লেখতে না পারে কখনো।
বাড্ডায় কোরান পোড়ানোর প্রতিবাদে। আমি বিশ্বাস করি এদেশে এখনো সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার হওয়া সম্ভব। সাধারন জনগন আইন হাতে তুলে নেই তখনই যখন তারা সুষ্ঠ বিচার পায় না।
আমরা তো শামুকের মতো নিজেদের গুটিয়ে নিলাম
আলো থেকে;
হে প্রভূ আমাদের পথ দেখাও…
আমরা তো আলো ভেবেই ছুটে গিয়েছিলাম পতঙ্গের মতো
অথচ কি নির্মম আগুনে পুড়ে ঝলসে গেলো হৃদয় জমিন;
ওরা কোরান পুড়িয়ে সাধনা করছে
ওরা কোটি কোটি মুসলমানের কলিজা পুড়িয়ে সাধনা করছে
আর আমরা, আমরা তো এখনো কূয়োর ব্যঙ;
শীতনিদ্রায় আছি।
ওরা জানে না সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কাকে বলে,
ওরা জানে না ধর্মীয় অনুভুতি কাকে বলে
ওরা জানে না কিভাবে সম্মান দেখাতে হয়;
ওরা শুধু জানে, আমরা এমন এক ঘুমন্ত জাতি
যাদের ঘরের খুটিগুলো ভেঙে পড়েছে, চালাগুলো উড়ে গেছে ঝড়ে;
দরজাতে তালা দিয়ে শান্তির ঘুম তবু ঘুমিয়েছি কবে!
এই ঘুম আমাদের শেষ ঘুম হবে??
একোন মধুর বচন শুনিয়া ধন্য হলাম
শ্যামল দত্ত খুৎবা শোনেন-
আমি নগন্য বলদ বলিয়া গন্য হলাম…
এখন তো শীত কাল
আষাঢ়ে গল্প তবু
একোন মূলুক হইতে
কর্ণ কুহরে প্রবেশ করিলো
আহারে শ্যামল বাবু
তোমারে বলিতে বড়ো সাধ জাগে মনে
এরকম ছাগলামী করিতেছো
কোন সে কারনে?
জুম’আর খুৎবা নিয়ে শ্যামল দত্তের বক্তব্যে বড়ই অবাক এবং ব্যথিত হয়েছি। তবে খইচালা ঝজরের ফুটো খুঁজবে এটাই সত্য….শ্যামল দত্তের বক্তব্য
রাস্তায় একদল কুত্তার ঘেউ ঘেউ
শুনে আমি দাড়ালাম থমকে,
ওরা নাকি শুকলেই বলে দিতে পারে খুব
সন্ত্রাসী বেশি আর কম কে।
লেবাসেই জঙ্গীর গুণ পায়
আসলে তো মতভেদ করে দিতে পারলেই
ফ্রি ফ্রি কিছু তাজা খুন পায়।
ওরা ভাবে অস্ত্রে ও বোমাতে
ছিড়ে খাবে যে শিশুর লাশটাই
মিডিয়ার মারফতে সে শিশুর বাপকেই
লটকাবে সন্ত্রাসী ফাঁসটায়।
ভীরু আর কাপুরুষে ভরে গেছে মুসলীম
পরিচয় দিতে কাঁপে ঠ্যাংটা…
এর চেয়ে ভালো ছিলো মানুষ না হয়ে যদি
হতো ছোটো পুকুরের ব্যাংটা।
http://www.siasat.com/news/mother-eight-month-old-palestinian-boy-ramadan-thawabteh-861438/
এর চেয়ে আমি কেনো কিট হয়ে এলাম না এখানেে
এর চেয়ে আমি কেনো হলাম না আগুনের শিখা
কিট হলে বোন তোর দেহে শুয়োরের নখের আঁচড়
পড়তো না ওপাড়ে যেয়েও
আগুনের শিখা হলে পুড়াতাম জীবন্ত ধরে
আমি কি অধম বোন দেখ……
হাড়ছাড়া পিঠে শুধু মাংশের স্তুপ জমা
ঘাড়ের রগের চেয়ে আরো বেশি কাছে
জমে গেছে ভয়ের বাতাস……
নগ্ন দেহটা তোর পড়ে আছে নিথর নিরব
পশুদের চিহ্ন শুধু জ্বলে আছে দগদগে ক্ষত
এরপরও আমি যদি সেজে থাকি সভ্য লেখক
আমি কি মানুষ তবু…কিটেরা মানুষ হয়ে যাক…।।
(মুসলীম নারীদের কবর থেকে তুলে ধর্ষণের শুধু মৌখিক থাকে নি, জানোয়ারেরা সেটা বাস্তবে করে দেখিয়েছে; আর কতো সহ্য করা যায়…!!)
এরপরও যদি কোনো দাঁতাল শুয়োর
সন্ত্রাসী বলে দেয় গাল
তবে তাকে খোলামেলা বলে রাখা ভালো
আমরা কি কিটের ছাওয়াল…!!
বুজদিল যারা আজো নিজেদের মুখ
নিজেরাই দেখেনি আলোতে
শ্বর্ণঈগল যারা পেচার মুখোষে
চেহারাটা ঢেকে আছে বসে
তাদের তো জাগাবার প্রয়োজন নেই;
প্রয়োজন নেই মাঠে ফেরাবার….
বদরের সাহাবীরা চেতনার সাথী যদি হয়
ওমরের হুংকার যদি কেউ শুনে থাকে তবে
আলীর জুলফিকারে সূর্য যে রোদ ফেলেছিলো
সেই রোদ আজ ফের ধুয়ে দেবে রাতের করোটি….
(ফিলিস্তিনের কুদস শহরের বাসিন্দা ইসরা আবেদ হত্যার সরাসরি দৃশ্য। এইভাবেই ফিলিস্তিনে মুসলিমরা বিনা কারনেই নির্যাতিত হচ্ছে ইহুদী সন্ত্রাসীদের হাতে।)
এবং যাদের কাছে মানুষের মূল্যটা গরুুর চাইতে কিছু কম
তারা কেনো গরু হয়ে জন্ম নিলো না পৃথিবীতে
মানবতা নামে দুটো চটি বই ছেড়ে দিলে বাজারে বাজারে
হয়ে গেলে মানবতাবাদী….!!!
খোদার কসম লাগে এইসব জালীমের হাতে
আর কোনো লাঞ্ছনা নয়….
নাটকের মঞ্চে যে কাঙ্ক্ষিত দৃশ্যের অপেক্ষায়
বসে ছিলো বিশ্ব মোড়ল…
তুমি কেহে নারী
হঠাৎ প্রবাহ ভেঙে শোনালে- ‘নাটক জীবন নয়;
জীবন পাবে না এর মাঝে।’
খুটিয়ে খুটিয়ে শুধু ধরে দিলে নাটকের ভুল……
তুমি তো জানতে ঠিকই এ নাটক পরিকল্পিত
তুমি তো জানতে ঠিকই শেষ পরিণতি
তবু কেনো ….কিসের আশায়…..
ওরা তোমার বিচার করতে চাইলো
ওরা তোমাকে দেখাতে চাইলো মৃত্যুর চেয়েও কঠিন যন্ত্রনা
অথচ তুমি বললে-
‘আমি আমার আল্লাহর দরবারে বিচারের অপেক্ষায় রইলাম….’
( বোন আফিয়া সিদ্দিকী…. তুমি তোমার আল্লাহর কাছে চলে গেছ ঠিকই। রেখে গেছো অসহ্য ভার….।। আহা! যদি মৃত্যুকে ভুলে যেতে পারতাম……)