চাটুকার পাখি তুই কার গান গাস
বেসুরো গলায় ক্যান কান কামড়াস?
তোর ডানা হাওয়া দেয় জালিমের তখতে
জুলুমের অবসান হোক তোর রক্তে।
চাটুকার পাখি তোর কণ্ঠের জোর
থাকুক যতোই শুধু এটা জেনে রাখ
রাত শেষে আসবেই রক্তিম ভোর
ছিঁড়বেই একদিন মিথ্যার ঢাক।
০৭/০৯/২২
চাটুকার পাখি তুই কার গান গাস
বেসুরো গলায় ক্যান কান কামড়াস?
তোর ডানা হাওয়া দেয় জালিমের তখতে
জুলুমের অবসান হোক তোর রক্তে।
চাটুকার পাখি তোর কণ্ঠের জোর
থাকুক যতোই শুধু এটা জেনে রাখ
রাত শেষে আসবেই রক্তিম ভোর
ছিঁড়বেই একদিন মিথ্যার ঢাক।
০৭/০৯/২২
থরথর কাঁপছিলো পা
আর না,
কোনোদিন না;
এইবার ফিরে গেলে ঘরে
শুনবে না কারো কোনো কথা।
পরদিন বিকেলের শেষ,
পাখিদের মতো
সারাদিন পর
অভিমানী ছলছল চোখে
ঘরে ফেরা তার।
একই তার পণ-
আর না, কক্ষনো না।
পরদিন একই সেই পথ
অভিমানী চোখ,
সাবলীল পায়ে
ঘরে ফিরে আশা।
এভাবেই বহুদিন পর
দেখি তার উজ্জ্বল মুখ;
দৃঢ় পায়ে হাঁটছিলো আর
বলছিলো- এটাই জীবন।
আমি তাকে এভাবেই
মানুষের মাঝ থেকে
ক্রমাগত সরে যেতে দেখি।
২২.০২.২২
নির্ঘুম রাত কেটেছে আমার
করবো না এই দাবি,
হাজার ভাবনা ঠেলে মাঝে মাঝে
তোমাকে নিয়েও ভাবি।
তোমার জন্য প্রাণ দিয়ে দিতে
চাচ্ছে না আজো মন,
তোমার আমার সম্পর্কটা
আরো বোঝা প্রয়োজন।
স্বদেশ আমার তুমি যদি হও
মায়ের মতোই তবে,
তোমার মমতা সন্ত্বান ভেদে
এতটা তফাৎ হবে!?
ডাকাতের দল ভাগ করে খেয়ে
বলছে ঢেকুর তুলে,
তোমারই শ্রেষ্ঠ সন্ত্বান তারা
আমরা যাচ্ছি ভুলে।
তোমার জন্য রাত দিন খাটে
কৃষক শ্রমিক যারা,
তারা অসহায় তাদের জন্য
তোমার মমতা ধারা
নাই যদি দেখি কি করে মায়ের
আসনে বসবে তুমি?
তুমি তো কেবল কাটাতারে ঘেরা
খণ্ডিত কিছু ভূমি।
ভুলে ভরা এই শরাবের সাথে
মিলিয়ে গুলিয়ে পান করি যাই
তাই ঘুরে ফিরে খিচুরি বানাই
তাই বেঁচে খাই
খেয়ে মরে যাই।
খেয়ে মরে যায় বুদ্ধিজীবীরা
শহরের কাক গাঁয়ের শকুন
পরজীবী ছারপোকা ও উকুন।
তবু তারা খায়
আমরাও খাই
একসাথে খাই
খাই ও খাওয়াই
মজা করে খাই
বমি করে খাই
জোরে জোরে খাই
চেটেপুটে খাই
খুটে খুটে খাই
চুষে চুষে খাই
পেলে-পুষে খাই
খেয়ে খেয়ে শেষে গল্প বানাই
আমরা যা গাই, ভিন্ন সে গান
ভিন্ন আজান!
আসলে কি তাই?
ডান বাম এসে এক মোহনায়
সুরে সুরে গাই
স্বার্থের গান
শরাবের সাথে গুলে গুলে খাই
ইমানের দায়,
হাদিস-কোরান!
আমরা দেখিনি আমাদের মুখ
হারিয়েছি কত মুখোশের ভীড়ে,
কত ইবলিশ হেসে খেলে বাঁচে
আমাদের বুকে, আমাদের নীড়ে।
সেই তো ভালো হাতের উপর হাত না রেখে
কেবল শুধু পায়ের তালে পা মেলানো
হৃদয় দিয়ে পুজিবাদের হিসেব মেলে?
কোথায় পেলে?
নষ্ট কি সব কাব্য করে সময় কাটাও
জীবনটাকে ফেলনা ভাবার এ দুঃসাহস কোথায় পেলে?
মোটেও তোমরা আগাচ্ছো না চিন্তাধারায়
হৃদয় নিয়ে কাব্য প্রথা খুব সেকেলে।
কর্পোরেটের এই জামানায় প্রেমের থালা
পয়শা পেলে ঝনঝনিয়ে বাজতে থাকে,
পৃথিবীটা এগিয়ে গেছে হাজার বছর
তোমরা আছো সেই পুরাতন ঘুর্ণিপাকে।
29.07.19
শোনো বাবা তুমি চাও যদি ছেলে টাকার কুমির হোক
গিলে তো খাবেই সবকিছু তার খাওয়ার দিকেই ঝোক,
‘অমকের ছেলে সোনার হরিণ দু’দিনেই কোটিপতি!’
তুমি বুঝলেনা কি পথ দেখালে, কতটুকু লাভ-ক্ষতি।
বিরাট মেধাবী ছেলেটা তোমার বন্ধু চেনেনা কোনো
সাতে পাঁচে নেই তোমার ছেলেই সন্ত্রাসী হবে শোনো,
সন্ত্রাসী মানে কুপাকুপি নয় টাকার পিছনে ছুটে
যারা খায় আজ দেশ ও জাতির সম্পদ লুটেপুটে।
লেখাপড়া জানা ছেলেটা তোমার ধর্ম মানেনা মোটে
বিরাট জ্ঞানী সে মুখে তার শুধু স্বার্থের খই ফোটে,
দেশটা ভালো না মানুুষ ভালো না ভালো বিদেশের মাটি
ছেলেটা তোমার সোনার হরিণ মেধাবী ভিষণ খাঁটি।
তোমার ছেলেটা দল করতো না কিন্তু এখন করে
নিজের স্বার্থে একরোখা বড়, রামদা চাপাতি ধরে;
মনে পড়ে তাকে তুমিই বলেছো প্রতিযোগী চারপাশে
কলমের জোরে দাঁড়াতে পারেনি, পেরেছে তো সন্ত্রাসে।
মানুষ হওয়া ছবক দিলেনা দিয়েছো এমন চোখ
যা দেখছে সব ‘আমার কেনো না?’ আমার বানাতে ঝোক।
08.10.19
ডাকটিকিট, অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২১
তালুবন্দি ভাবুকেরা গোল হোন
টকশোতে ঝড় তুলুন
আপনাদের মুখ আর বুকের দূরত্ব আমাদের ভাবায়
আমরা ভাবতে শিখি।
তালুবন্দি ভাবুকেরা গোল হোন
আপনাদের মগজের ধোঁয়ায়
আমাদের দৃষ্টি বিভ্রান্ত হোক
আমরা সুশিল হই।
পেয়ালায় গরম চা পাতি
নিশ্বাসে অবিশ্বাসের মন্ত্র
আর চোখে জমে থাকা ঘুমের ময়লা নিয়ে
আমরা অপেক্ষায় থাকি-
টকশোর কতক্ষণ বাকি?
21/10/18
কবির জবান আজ বন্ধকি জমির লাহান
কথা কয় রয়েসয়ে একূল ওকূল ভেবে
পাছে কেউ বলে ফেলে, ভান্ডারে নেই কোনো জ্ঞান!
মহা-চাটুকার শুধু বিকৃত মানসের পয়ার মিলাবে।
কবি কণ্ঠে আকুতি- সুরা চাই, সাকি চাই দেবে?
বিনিময়ে শব্দের যাবতীয় কৌশল নিয়ে
দাঁড়াবো তোমার পাশে, আপোসের এটাই সুযোগ।
বিশ্বাসী কবি ছাড়া ইতিহাস দেখো আওড়িয়ে
অহরহ মিলবে সহজে। কবিতা খোদার বাণী নয়,
কবিতা এমন কিছু নয় চিরকাল সত্যকে নেবে।
তাই বলে বলবো না কেবলই আপোসে বাঁচে কবি
বরং তারাই যারা চাটুকারি পথ নেয় বেছে
হারায় অতল তলে, মানুষেরা মনেও রাখেনা।
কবির কবিতা থাক বিবেকের করাতের নিচে…
চক্ষু শীতল হোক
পোষমানা বুকের বোতাম
ছিড়ে গেলে বের হোক বুনো কবুতর
হৃদয় শীতল হোক
লতানো সুখেরা সব তরতর
উঠে যাক মজবুত জাংলার পিঠে।
খোলসের ঝিকমিক রঙ
রুপালী পুটির যত তেলতেলে পেট
সাতবেলা আহার্য্য নাই হোক
জল আর শাদা ভাত মুখে
হালাল টাকার সাদ
পাক তবু কেউ।
আর যদি রোদহীন দুর্বার পিঠ
বিপ্লবী হয় কোনোদিন
সেও যেনো ছুঁতে পারে
লোনা ঘামে স্বার্থক ভেজা আস্তিন।
বোধের মধ্যে বোধের মৃত্যু নির্বোধে তাই খেলছে তাস
বোদ্ধা তোমার ঘরেই আগুন, করছো তবু কার তালাশ?
খুব পেকেছো, পাকার বালায় জানতে আগেই; জানতে না?
হুস থাকে যার বেহুস হওয়ার সম্ভাবনা কেবল তার,
মানতে তুমি; মানতে না?
বোদ্ধা তোমার বোধের মধ্যে গলদ কোথায় তাই খোঁজো
তোমার মতের বিরুদ্ধে ঝড় উঠলে কেনো মুখ গোঁজো?
মরুভূমির উটপাখি হও; বলবে তোমার নিয়ত কি,
বোধের আলোয় পথ না পাওয়ার ভাববে না কৈফিয়ৎ কি?