অতীতের কতক অংশ মুছে ফেলা যেত যদি,
হৃদয়ের পুরোনো প্রাচীরগুলো ভেঙে ফেলা যেতো;
যদি গা ঘিনঘিন করা লজ্জা ও অনুশোচনার দিবস ও রাত্রিগুলো কোঁদাল দিয়ে উপড়ে ফেলা যেত জীবনজমিন থেকে,
জীবনের ঘড়ি থেকে ভালবাসাহীন সেকেণ্ড, মিনিট ও ঘন্টাগুলো
ভস্ম করে দেওয়া যেত,
মোবাইলের অস্বস্তিকর কোনো নম্বরের মতো
মুহূর্তে ডিলিট করে দেওয়া যেত বিবেককে কেউটে সাপের মতো দংশন করতে থাকা অতীতের যত আকাম কুকাম;
যদি ভেঙে যাওয়া মাটির কলসগুলোকে জোড়া লাগিয়ে আবার
তুলে রাখা যেত তাতে পাতকুয়োর শীতল পানি!
তিনি বললেন, যে কলস জন্মেছে ভেঙে যাওয়ার জন্যে, কী দিয়ে করবে মেরামত তার ভাঙা কপাল? যে পানি স্রোতে ভেসে মিশে গেছে অতীতের মহার্ণবে, কে তাকে ফিরিয়ে আনে যমুনার ঘাটে আর? যে সময় চলেছে ছুটে তোমাকে পিছনে ফেলে দুরন্ত দুর্বার,
সাধ্য কার রোধে তার গতি! জীবন এমনই, বৎস, তাঁর করুণা ছাড়া বৃক্ষে ধরে না ফুল, তাঁর সম্মতি ছাড়া সে ফুল যায় না ঝরে।
২৭.৪.২০১২ মিলনমোড়, সিরাজগঞ্জ