আয়রে ঘোড়া পরেনদা
পাখনা মেলে উড়ে যা,
কিসসা শুনি রোজ আমি
করি যে তোর খোঁজ আমি,-
জোসনা যখন ফুটফুটে
মনে মনে যাই ছুটে,
সাঁঝের পরী রয় পীছে;
মাটির ধরা রয় নিচে।।
ছড়ার আসর ১২ / ফররুখ আহমদ
চেরাগটাতে জ্বালো
আঘণ মাসের আলো;
নীহার-ভেজা মাঠে নামে
রাতের ছায়া কাল,
মাগো তোমার কিসসা কথা
লাগবে এখন ভাল।।
ছড়ার আসর ১১ / ফররুখ আহমদ
বাদা বনে বসত করে
বাইরে এসে শিকার ধরে,
হলদে কোটে কাল ডোরা
বাঘ দেখে যা আজকে তোরা।।
ছড়ার আসর ১০ / ফররুখ আহমদ
বনের রাজা সিংহ ভাই,
ভয় ভাবনা কিছুই নাই,
চওড়া যে তার বুকের ছাতি
ডরায় না সে দেখলে হাতি।।
ছড়ার আসর ০৯ / ফররুখ আহমদ
ভয়ে পালায় বোকা,
ভয় পায় না খোকা!
খোকন সোনার সাহস ছিল,
বুদ্ধি ছিল চোখা;
ভয় না পেয়ে ভেঙে দিল
হুতোম পেঁচার ধোঁকা।।
ছড়ার আসর ০৮ / ফররুখ আহমদ
“আলফা ডাঙায় যাবি কে?
আমটা পেড়ে খাবি কে?”
“আলফা ডাঙার মাঠে
ধুতুম, ধুতুম ডাকে;
আলফা ডাঙায় যাব না
আমটা আমি খাব না।”
ছড়ার আসর ০৭ / ফররুখ আহমদ
বড় হ’লে যাবো আমি
‘হলদি কোটা’র দেশে,
তা’রা- সাঁঝ সকালে ডাকে,
তা’রা- ফুল কুড়িয়ে রাখে,
তা’রা- মেহেদী পাতায় হাত রাঙিয়ে
বেড়ায় খেলে হেসে।।
ছড়ার আসর ০৬ / ফররুখ আহমদ
টোনা, টুনি, ময়না,
কেউ তো বসে রয় না
টুনটুনি যায় বেড়াতে
বুলবুলি যায় পাড়াতে,
বুলবুলি বন ছাড়িয়ে
ময়নাকে যায় নাড়িয়ে,
ময়না পাখায় ভর দিয়ে
যায় সেখানে বন-টিয়ে।।
ছড়ার আসর ০৫ / ফররুখ আহমদ
খোকন যাবে কার বাড়ি?
খোকন যাবে তার বাড়ি
নাই জামা যার; নাই গাড়ি।
খোকন যাবে কার না’য়ে
খোকন যাবে তার না’য়ে
নাইরে মাঝি যার না’য়ে।।
ছড়ার আসর ০৪ / ফররুখ আহমদ
গাঁয়ের ধারে আট-চালা
সেখানে এক পাঠশালা
পাঠশালাটায় খোড়ো ঘর
সেখানেই ভাই এল ঝড়,
ঝড় এসে ভাই হুড়মুড়িয়ে
নিলরে সব গাছ উড়িয়ে
উড়িয়ে নিল চাল খুঁটি
সাত সকালে তাই ছুটি।।