ওখানে যেওনা বাবু, ওখানে জুজু আছে… / সাইফ আলি

ওখানে যেওনা বাবু, ওখানে জুজু আছে। বাবু ততদিনই ভয় পাই যতদিন সে আপনাকে বিশ্বাস করে তার জ্ঞান দ্বারা বিচার করতে পারে না। কিন্তু যেদিন সে সত্যটা জানতে পারে তার শুধু ভয়ই কাটে না বরং তার সামনে আপনি মিথ্যুক হিসেবে প্রমাণীত হন। সুতরাং আমাদের সমাজের সকল পর্যায়ের অবিভাবকদের মনে রাখা উচিত, মিথ্যা কোনো সমাধান নয় । সাময়িক সমাধান পাওয়ার জন্য যেনো আমরা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখিন না হয়।
 
মনের মধ্যে আল্লার প্রেম জাগাতে যারা আজগুবি গল্প ফেদেছেন, রাসূলের ভালবাসা জাগাতে যারা কাল্পনিক গল্প বানিয়েছেন আজ তাদের কারনেই শিক্ষিত যুব সমাজ সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করছে। তারা আজ বিভিন্ন মনীষীর জীবনী ঘেঁটে মানবতার সমাধান খোঁজে কিন্তু সব মনীষীর সেরা যিনি সেই মনীষী হয়রত মুহাম্মদ সা. এর জীবনী ঘাটতে যায় না। এর কারণ আপনারাই যারা মিথ্যা গল্পের মধ্যে রাসূলের ভালোবাসা খুুঁজতে গিয়েছেন।
 
তবে যাই হোক, যার হাতে কোরআন আছে আর রাসূলের সুন্নাত আছে সে কখনোই পথভোলা হতে পারে না। রাসূলকে ভালোবেসে নয়, তাকে অনুসরণ করে মুক্তির পখ খুঁজতে হবে। যারা শিক্ষিত সমাজ তাদের বলি, সেই লেখােপড়ার বিন্দু মাত্র মূল্য নেই যেই লেখাপড়া আপনাকে কোনোকিছু শুনেই বিচার না করে সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষা দেয়।
 
ইদানিং দেখছি বিভিন্ন টকশতে মুরুব্বিরা ইসলাম সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলছেন। তাদের যদি বলা হয় সূরা ফাতিহা টা একটু বলবেন প্লিজ, তাদের মধ্যে ৯০% শুদ্ধ উচ্চারণে ওসটা পড়তেই জানে না। তারা সালমান রুশদি, তসলিমা বা হুমায়ুন আজাদের কাছে ইসলাম শিখতে যায়। দুঃখ ঐসকল মূর্খদের জন্য যারা
যে বিষয়টা কোনোদিন স্টাডি করেনি সে বিষয়ে কথা বলতে যায়। মজার বিষয় হচ্ছে, তারা আজ কোরআন থেকে রেফারেন্স টানে যেই কোরআনকে তারা এ যুগের জন্য অচল মনে করে।

ঘটনা ঘটছে যা… রটনা রটছে কি তা?? / সাইফ আলি

তনু হত্যা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উদয় হচ্ছে মনের মধ্যে… তার আগে বলে নিই যারা বলছেন সেনাক্যাম্পের মধ্যে সেনাবাহিনীর কেউ ছাড়া এ কাজ সম্ভব না তাদের সাথে আমি একমত হতে পারলাম না। কারণ, পিলখানায় এতোজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেননি আর এটা তো খুব সামান্য ব্যপার। সেনাক্যাম্পগুলোকে আমরা যতটা সুরক্ষিত ভাবছি বাংলাদেশের শত্রুরাও কি তাই ভাবে। তারা প্রতিনিয়তই সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। কারণ, চরম মুহুর্তে স্রষ্টার পর বাঙালি সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকে। তাই কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই একতরফা দোষারোপ যেন আমাদের সেনাবাহিনী ধ্বংশের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। তনু হত্যাই নয় সব হত্যার বিচার আমরা চাই তবে তা প্রমাণ সাপেক্ষ্যে। যেহেতু সেনাবাহিনীর দিকে কারো কারো আঙ্গুল উঠেছে সেনাবাহিনীর উচিত এর সত্য উদঘাটন করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা অপরাধি সেনাবহিনীর কেউ হোক আর অন্য যেই হোক। কারণ খারাপ মানুষ নিজের পেটেও জন্ম দেন মা। আর এটাতো খুবই বৃহৎ পরিসর।
তথ্য প্রমাণ ছাড়া কাউকে দোষারোপ করার সম্পূর্ণ বিরোধী আমি। আমার দেশের শান্তিরক্ষি বাহিনীর উপর ভরসা করতে চাই। জানি, আমাদের শত্রুরা এইসব শান্তিরক্ষিদের (ভাইদের) দিকে শকুনের চোখে তাকিয়ে আছে। বিভিন্ন নীল নকশা বাস্তবায়ন করার পায়তারা তারা করবে এটাই স্বভাবিক। আমাদের আবেগের জানালাটা একটু কষ্ট করে চেপে ধরে চিন্তা করতে হবে যে, আসলেই আমার বোন কি আমার ভায়ের দ্বরা ধর্ষিত হলো। নাকি………….
আমরা বাংলার মানুষ আজ কঠিন সময় পার করছি সন্দেহ নেই। আর একটা বিষয় মনে করিয়ে দিই তনুর ধর্ষক ছাড়াও চিহ্নিত ধর্ষকরা যখন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায় তখন আমার ছোটো মাথায় একটু বেশিই চাপ লাগে…।
ঘটনা ঘটছে যা… রটনা রটছে কি তা??

Create a website or blog at WordPress.com

Up ↑

%d bloggers like this: