নীল পাহাড়ের ছড়া- ২ / শাহাবুদ্দীন নাগরী

কে ভেঙেছে হাঁড়ি-পাতিল
কে ভেঙেছে শিশি,
দুয়োর বেঁধে তাই কাঁদছে
চন্দনাদের পিসী।

শিকেয় ছিলো মাছের বাটি
পায়েস ছিলো তাকে,
কি যে কপাল! সে সব কি রোজ
মিটসেফে কেউ রাখে?

কৌটো ভরা লঙ্কা ছিলো
পাতিল ভরা চাল,
সে-সব কিছু উল্টে দিয়ে
করলো কে এই হাল?

সব করেছে পাজীর সেরা
চন্দনাদের হুলো,
মারের ভয়ে পিঠের উপর
তাই বেঁধেছে কুলো।

নীল পাহাড়ের ছড়া- ১ / শাহাবুদ্দীন নাগরী

হ্যালো, হ্যালো, ক্রিং ক্রিং, পুষি ধরে রিসিভার,
টেলিফোনে গল্প জুড়ে দিলো পিসী তার।
পিসি আছে পাবনায়,পুষি আছে ঢাকাতে,
রাজধানী ভালো নাকি খাওয়া-পরা-থাকাতে?

চিন্তার শেষ নেই, পিসী বলে: খাস কি?
হ্যাঁরে পুষি, মাছ-কাঁটা, হাড়, দুধ পাস কি?
:হ্যাঁগো পিসী পাই সব, মেম সা’ব জব্‌বর,
স্বাধীনতা সবখানে, চলি-ফিরি সব ঘর।

সাহেবের ছোট মেয়ে, নাম ওর পান্না
আমি যদি কাছে থাকি ভুলে যায় কান্না।
পান্নার পুষি আমি বড় বেশি আদুরে,
সোফা-সেটে ঘুম যাই, থাকি না তো মাদুরে।

পিসী বলে: তাই নাকি? সুখে থাক্ পুষি রে,
তোর কথা শুনে বড় লাগছে যে খুশি রে।
পুষি বলে: পাবনায় অসুবিধা থাকাতে?
তবে তুমি চলে এসো রাজধানী ঢাকাতে।

হ্যালো, হ্যালো, ক্রিং ক্রিং, ট্রাঙ্কল পাবনা,
পিসী হাসে, তার আর নেই কোনো ভাব্‌না।

Create a website or blog at WordPress.com

Up ↑

%d bloggers like this: