:এক দেশে এক রাজা ছিলো
তার ছিলো এক রাজকুমারী;
রাজকুমারী পরীর মতো…
:আচ্ছা বাবা ওসব রাখো
যেই পরীটা ট্রাকের নিচে
সেদিন বসে চাল কুড়োলো
তার কি হলো?

মানুষ সেধেছে জ্ঞান-বিজ্ঞান
কোনো বিজ্ঞান সাধেনি মন,
সাধিত সে জ্ঞান সহজ করেছে
কঠিনতর এ নর-জীবন।
কবে কোন কালে প্রমান করেছে
বিজ্ঞান বলো স্রষ্টা নাই?
স্রষ্টার দেয়া বিধান ধর্ম
বর্ম পরেই মেলে রেহায়।
যদি এ যাত্রা বেঁচে যাও প্রিয়
যদি এ যাত্রা মুক্তি পাও,
ধর্মের কাছে পথ চেয়ে নিও
বিজ্ঞান দিয়ে জুতা সেলাও।
২৩.০৪.২০
যে কথা বলতে প্রাণ দিলো আবরার
সে কথা ফুটুক জনতার মুখে মুখে
খুণিরা জানুক মৃত্যু আনে না ভয়
শহীদের খুণ ঠেলে দেয় সম্মুখে।।
07.10.19
দুমড়ে মুচড়ে স্বপ্নের মালা, আকাশ ছোঁয়ার সাধ
প্রিয় বাবা, তুমি প্রস্তুত করো তোমার চওড়া কাঁধ।
আগে চড়েছিল ছোট্ট আমিটা, এবারে আমার লাশ।
মুখোশে মুখোশে মানুষের সাথে শুয়োরের বসবাস।
গ্যাস দিছি পানি দিছি,
খালি হাতে আইছি?
পাই বা না পাই কিছু
পদক তো পাইছি।
এতো রাগ করিস ক্যা
দাদা কিছু দিলো না!
বাঙালিরা কোনোদিন
এরকম ছিলো না।
বাঙালিরা দিলখোলা
ঘর বেঁচে বর চায়,
ঠাকুরের চেহারাটা
দ্যাখ বিনা খরচায়।
06.10.19
যে কথা বলতে প্রাণ দিলো আবরার
সে কথা ফুটুক জনতার মুখে মুখে
খুণিরা জানুক মৃত্যু আনে না ভয়
শহীদের খুণ ঠেলে দেয় সম্মুখে।।
07.10.19
শোনো বাবা তুমি চাও যদি ছেলে টাকার কুমির হোক
গিলে তো খাবেই সবকিছু তার খাওয়ার দিকেই ঝোক,
‘অমকের ছেলে সোনার হরিণ দু’দিনেই কোটিপতি!’
তুমি বুঝলেনা কি পথ দেখালে, কতটুকু লাভ-ক্ষতি।
বিরাট মেধাবী ছেলেটা তোমার বন্ধু চেনেনা কোনো
সাতে পাঁচে নেই তোমার ছেলেই সন্ত্রাসী হবে শোনো,
সন্ত্রাসী মানে কুপাকুপি নয় টাকার পিছনে ছুটে
যারা খায় আজ দেশ ও জাতির সম্পদ লুটেপুটে।
লেখাপড়া জানা ছেলেটা তোমার ধর্ম মানেনা মোটে
বিরাট জ্ঞানী সে মুখে তার শুধু স্বার্থের খই ফোটে,
দেশটা ভালো না মানুুষ ভালো না ভালো বিদেশের মাটি
ছেলেটা তোমার সোনার হরিণ মেধাবী ভিষণ খাঁটি।
তোমার ছেলেটা দল করতো না কিন্তু এখন করে
নিজের স্বার্থে একরোখা বড়, রামদা চাপাতি ধরে;
মনে পড়ে তাকে তুমিই বলেছো প্রতিযোগী চারপাশে
কলমের জোরে দাঁড়াতে পারেনি, পেরেছে তো সন্ত্রাসে।
মানুষ হওয়া ছবক দিলেনা দিয়েছো এমন চোখ
যা দেখছে সব ‘আমার কেনো না?’ আমার বানাতে ঝোক।
08.10.19
ডাকটিকিট, অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২১
বললো রাজা হেসে-
‘ভিন্নমতের চিহ্ন যেনো না থাকে এই দেশে-’
ঝাপিয়ে পড়ে রাজসেনারা ভিন্নমতের খোঁজে
তাই দেখে কেউ ঠোস পরে কেউ সাবধানে ঘাড় গোঁজে,
কিন্তু কিছু আগ্নেগীরির বেরিয়ে আসা লাভায়
ভয় ঢুকে যায় রাজার বুকে, ভীষণ করম ভাবায়।
ভাবনা শেষে চেঁচিয়ে বলে- ‘বন্ধ করো মুখ-’
বন্ধ হলেই শান্তি রাজার, বন্ধ হলেই সুখ।
08.10.19
অতীতকে ভুলে যেতে বর্তমানের মিঠে খাঁস চুমু দরকার ছিলো-
পূনঃরায় মুখোমুখী দাঁড়িয়েছে ভাই আর ভাই,
দূর দেশে বসে আছে কঠিন দাবাড়ু এক ধ্যানে,
সন্দেহ জাগে-
আবেগ উথলে ওঠা ভায়েদের এইসব কুলাবে কি জ্ঞানে!
আমি এক অধম এখানে
কপচিয়ে লেবু-জ্ঞান একা,
তিতা করে ফেললাম বুঝি!!?
কি করবো বলো-
আমি শুধু রাজপথে পুতুলের মতো শত
শহীদের মর্তবা খুঁজি!!