ভোটের চা / সাইফ আলি

খুটোয় আমার জোর ছিলো না
ভাটায় ছিলো নদী,
দেশটা কবেই পাল্টে যাতো
শাসক হতাম যদি।

দূর্ণীতিবাজ সব শালারা
লোটছে কোঁচড় ভরে,
ডাণ্ডা মারে পথ দেখাতাম
সব কটাকে ধরে।

দুখের কথা কি আর কবো
টিটকারি দেও ভারি,
না হয় দুডো চা খেয়েছি
ভোট করিছি তারই;
হোক না সে চোর, ওয়াদা কোরে
ভাঙতি আমি পারি?

০৯.০৪.২২

সূর্যে আমার চোখ পোড়ে না / সাইফ আলি

সূর্যে আমার চোখ পোড়ে না
চোখ পুড়ে যায় রাতে,
জারজগুলো মিছিল নিয়ে
বেরোয় মশাল হাতে!

ভোগের থালায় দৃষ্টি এদের,
নীতিকথার ঝোলে
মুখ ডুবিয়ে হুস থাকে না
লুঙ্গি মাথায় তোলে।

গর্ত ওদের ভিন্ন হলেও
সব শেয়ালের ডাকই
হুক্কা হুয়া; তাই সারারাত
সজাগ হয়েই থাকি।

বুদ্ধিজীবী(!)র ছয়টা ছানা
এক টেবিলে বসে
ওদের ছকেই আলাপ পাড়ে
লাল হয়ে যায় রোষে!

এসব দেখে চোখ পুড়ে যায়
চোখ পুড়ে যায় রাতে,
জারজগুলো মিছিল নিয়ে
বেরোয় মশাল হাতে!

২৭.০২.২২

সময়ের ছড়া-১১ / সাইফ আলি

আগুন আগুন বলে চেচাচ্ছে কে?
একসাথে ইস্যুগুলো পেচাচ্ছে কে?
দেশটাকে বেটে বেচে কে খাচ্ছে কে?
সবশেষে নীতিকথা শেখাচ্ছে কে?
তার দিকে চোখ দাও
তার দিকে চোখ,
তার মুখে রক্ত
সেই তো শোষক।।

১১.১০.২০

চোখ ফুটেছে নতুন নতুন / সাইফ আলি

চোখ ফুটেছে নতুন নতুন
যা দেখি সব চমৎকার
হা তে হা হই না তে না কই
নেতার কথায় অমত কার?

ফোড়গুলো সব নতুন নতুন
পুচ্ছদেশে মুছছি মুখ,
দিনগুলো সব রঙিন রঙিন
সবচে বড় মনের সুখ।

আমলা-বাড়ির মামলাতে ভাই
নাক গলানোর সময় নাই,
দেয়াল চুইয়ে যেটুক নামে
সেটুক চেটেই সখ মিটাই।

চামচা না ভাই গামছা গলায়
নাম নিয়েছি সমর্থক,
সব কিছুতে বিতর্ক ক্যান
ওসব করা অনর্থক।

হিংসে করে লাভ হবে না
চলতে হবে হেকমতে,
বুঝতে হবে চালগুলো সব
মন্ত্রী-ঘোড়ার চেকমতে।

তোমরা যারা বিপ্লবী ভাই
সফল হলে করবো বড়াই
বলবো ছিলো সমর্থন,
কাঁধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই
আজ আমাদের এ অর্জন।
১৪.০৬.২০

সময়ের ছড়া-১০ / সাইফ আলি

এমনিতে কি আগুন লাগে
আগুনটা কেউ লাগায়;
বস্তিঘরে লাগলে আগুন
দেশ কিছুটা আগায়।

আগুন লাগে বস্তি পোড়ে
টাওয়ার ওঠে টাওয়ার,
আগুন টাগুন কিচ্ছু না ভাই
পুজিপতির পাওয়ার।

১১.০৩.২০

সময়ের ছড়া-০৯ / সাইফ আলি

গ্যাস দিছি পানি দিছি,
খালি হাতে আইছি?
পাই বা না পাই কিছু
পদক তো পাইছি।

এতো রাগ করিস ক্যা
দাদা কিছু দিলো না!
বাঙালিরা কোনোদিন
এরকম ছিলো না।

বাঙালিরা দিলখোলা
ঘর বেঁচে বর চায়,
ঠাকুরের চেহারাটা
দ্যাখ বিনা খরচায়।

06.10.19

পদ / সাইফ আলি

মান যায় যাক তবু পদ বেঁচে থাক
নাক বেঁচে হয়েছি যে হাসির খোরাক;
এঁটো খেয়ে খেয়ে আজ এই পজিশন
দ্যাখ ভাই ছেড়ে দিতে চাচ্ছে না মন।

আমার কি দোষ, আমি হুকুমের দাস
বর্গায় নিয়ে জমি করে খায় চাষ;
মালিকের কথা মতো চলি ফিরি এই,
সত্যি বলছি কোনো স্বাধীনতা নেই।

পরধনে পোদ্দারি ক্যামনে তা করি
হাড় ছুড়ে দিলে তাই ছুটে গিয়ে ধরি,
স্বভাবটা যারই হোক অভাবটা যার
আমিও গোলাম শুধু সেই ক্ষমতার।

09.10.19

বুদ্ধিবেচা / সাইফ আলি

কুত্তা দেখে ভড়কিয়ে যাও
শুয়োর দেখে নাচো
তোমরা নাকি শেয়াল তাড়াও
মুরগি হয়ে বাচো!?

হাড় চেটে কেউ বাঘ হয়ে যাও
হরীণ খাওয়ার লোভে,
কিন্তু আবার আমিষ দেখে
লাল হয়ে যাও ক্ষোভে!

আন্দোলনের গন্ধ পেলে
সন্ধানী হও চুপে,
সুযোগ মতো ফায়দা লুটে
সাবধানে যাও ছুপে!

তোমরা নাকি বুদ্ধি বেচে
পয়সা কড়ি কামাও,
মাজার পারে লাত্থি দিমু
ফালতু আলাপ থামাও।

09.10.19

টিংটিঙে ছেলেটা / সাইফ আলি

টিংটিঙে ছেলেটার দাপটে
রাস্তায় চলা দায়
কোনো কথা বলা দায়
নেতা নাকি আছে তার সাপোটে!

মুখে দিয়ে বেনসন শলাকা
আসমানে ভাসে সে
একা একা হাসে সে
আহা কি স্বাধীন এক বলাকা!

ছেলেটার জারিজুরি ফাপরে
মনে হয় কিম তার দুলাভাই
যদিও সে এইখানে দাঁড়িয়ে
এক ঠ্যাঙ উত্তর কোরিয়ায়।

ছেলেটার পরিচয় ছাত্র
হলের সে বড় ভাই
রাজনীতি করে খায়
নেতাদের অতি প্রিয় পাত্র।

20.05.19

বি সি এস / সাইফ আলি

কার জলে কে মরছে ডুবে
কার কলে কে চিপায়
মিথ্যে প্রেমের যজ্ঞ শেষে
মজনু মিঞা কি পায়?

মজনু মিঞার প্রেম নদীতে 
বি সি এসের টিপাই
লাইলি হলো মিসেস ক্যাডার
মজনু গলাচিপায়।

08.03.19

Create a website or blog at WordPress.com

Up ↑

%d bloggers like this: