দৃশ্যপটে ছিলেন তিনি এক জনাব কুকুর
দুপুরের রোদে, ঠাই দাঁড়িয়ে-
কোনো এক ইতোরের অপেক্ষায় জনাবের এভাবে বসে থাকা ঠিক নয় ভেবে বললাম-
জনাব, কি ব্যপার বলুনতো…
ভারি মেজাজি স্বরে তিনি জবাব দিলেন- তোর কি বেটা, ফোট…
না, আমার কিছু না- নিরাস হয়ে ফিরে এলাম।
জবাবটা আমার জানাই ছিলো; এরকম কতো দেখেছি প্রেসক্লাব পাড়ায়-দলীয় কার্যালয়ের সামনে-
আর যেখানে কোটি টাকার কাঙালী ভোজ বিতরণ হয় সেখানে-
জনাবদের উৎপাতে নগর জীবন বিষীয়ে উঠেছে-
রাত নেই দিন নেই একটানা ঘেউ ঘেউ শব্দে অস্থির করে রেখেছেন।
ডাস্টবিন পাড়ায় এখন আর তারা ঘুরাঘুরি করেন না,
অভিজাত হোটেলে কিংবা ডুপ্লেক্স বিলাস বাড়িতেই থাকেন বেশির ভাগ;
না না, গেটে দারোয়ান হিসেবে নয়; একদম বেডরুমেই থাকছেন ইদানিং…
শুনেছি হাড়গোড় ছেড়ে এখন তারা নিয়মিত ঘুষ খাচ্ছেন,
একটু ভুল হয়ে গেলো, ঘুষ না ওটা; জনাবদের পেশাদারিত্বে খুশি হয়েই নাকি আমজনতা দেদারছে ঢালছে ওসব।
তবে, এতো উন্নতির পরও সেই পরের পাতে থাকা মাংস টুকরোর লোভ সামলাতে না পেরে
জিহ্বাটা নাড়তেই থাকেন…
আরেকটা কথা না বললেই নয়- প্রভূভক্তিতে তাদের তুলনা হয়না,
কেবল প্রভূগুলো ক্ষণে ক্ষণে বদলে যায়…