এই হতাশার ত্বক ফেটে বের হওয়া পুঁজ ঘেটে পাবি কি
মৃত্যুর দরজাতে নীল বীষ, মদ হাতে করছিস জীবনের দাবি কি?
এই চোখ ভরা ঘুম নিয়ে কার সাথে কি মিলিয়ে কতদূর
এই আঁধারে আঁধারে ঘুরে ঘরগুলো ভেঙেচুরে কানে কানে যপে যাস যেই সুর
সেকি ভাঙনের নয়, সেকি আঁধারের নয়?
আছে তোর কাছে বল হতাশার তালা ভাঙা চাবি কি?
শুধু এ শরীরটাকে পুঁজি করে ব্যবসাটা জানি তোর
মিথ্যের বেসাতিতে গাদাগাদি করে আছে গ্লানি তোর
তবু রঙচঙে মোড়কে আড়াল করে পচাবাসি তত্ত্ব
তুই সুর করে বলছিস- খেয়ে যান দাদা আমসত্ত্ব!
আর বেকুবের দল তোর সুরে সুরে গায়!
তারা ধরতে পারে না তোর চালাকি…
তোর চেতনার ত্বক থেকে মেকাপের আস্তর খসে যাক
তোর বিদঘুটে চেহারায় জাগতিক মাছি এসে বসে যাক
তুই পড়ে থাক পুজিবাদী ভাগাড়ে
মানুষ মানুষের সত্যিকারের রূপ খুঁজে পাক।
শাদা-কালো, বিত্তের ব্যবধান সবই তোর সৃষ্টি
নারীর কাপড় ধরে ঝুলে পড়া লালসার দৃষ্টি
তবু কি দারুণ নামগুলো ঢেকে রাখে তোর সব কর্ম
জানি হতাশার নীল স্রোতে ঠেলে দেওয়াটাই তোর ধর্ম।
আহা! বেকুবের দল তোকে ডাকে পিপাসায়
তুই এই পথে সুখ খুঁজে পাবি কি?
১২.০৬.২০
মন্তব্য করুন