আজকাল আমার কী হলো?
নদীকে গিয়ে বলি থামো, বাতাসকে শুনো, পাহাড়কে জাগো, বৃক্ষকে এসো
লোহিত সাগর, নায়াগ্রা, আফ্রিকা আর হাজার বছরের ঘোড়ার দাপটে
সারারাত ঘুমাতে পারি না।
আমার দৃষ্টির শিহরণ থেকে আলো-অন্ধকারের উড়াজাল
পৃথিবীর প্রতিটি শব্দকে তুলে আনে আঙ্গিনায়। কোন এক স্বপ্নবণিক
এইসব শব্দে নিসর্গকে পান্ডুলিপি বানাতে বলে
উত্থান-পতনের, ঘাম-রক্তের, রমনী-প্রজন্মের, সত্যের বর্ণশিখার,
দাউ দাউ কান্না-হাসির এবং মানুষের ভেতরের শিল্পনগরে ধূমায়িত বাষ্প
কীভাবে গরিমায় ওড়ে, দ্যুলোক ছাড়িয়ে!
আমি শব্দের সাথে শব্দের জোড়া লাগালেই ঝন ঝন করে ওঠে
গোলার্ধের সমস্ত কাসা, কিষাণের হাতে নেমে আসে ঈদের প্রেয়সী-চাঁদ,
থরথর ছুটন্ত বিমান তোমার রানওয়েতে কাত হয়ে যায়,
মাটির রোমশিরগুলো সচেতন দূর্বাঘাস, বাতাসের রোদে মেতে ওঠে!
আমার জোড়া শব্দ চোখ খুললেই শকুন তেড়ে আসে,
ঠোঁটের অসিতে যার বিশ্বায়ন জিহবা নাড়ায়, তেড়ে আসে চিতার হিংসা,
বেশ্যার তুমুল উল্লাস।
আমি আর করবো কী ?
নবজাত শিশুটিকে আশার সিন্দুকে জ্যোৎস্নার নদীতে ভাসাই,
জল আর মৃত্তিকার চুম্বনের শব্দ শুনে শুনে সিন্দুকটি
ভিড়বে এক নির্ধারিত কিনারায়,
অলৌকিক ওঁম থেকে শিশুকে ক‚লে তুলবে রমনীয় স্নেহ।
তারপর একদিন
দাজ্জালের রাজপ্রসাদে ফেরাউনের অহংকারে
শিশুটি কষে মারবে সত্যের চাটি।
মন্তব্য করুন