অরণ্যের মাঝখানে
উদ্ধত দাঁড়িয়ে একটি গাছ। সে জানে
কী করে লড়তে হয় ঝড়-ঝন্ঝার
সাথে। তার
সুউন্নত সব ডাল।
সকাল বিকাল
কি-বিপুল পাখি এসে বসে, গান গায়, করে খেলা
এবং রাতের বেলা
লুকায় তাদের সন্ত্রস্ত শরীর নিজঝুম ঘন পাতার আড়ালে।
তার পাশে মহাবীর রুস্তমও দাঁড়ালে
হয়ে যায় কত ছোট! তবু এক ছোট্ট পাখি প্রতিদিন ভোরে
জোরে জোরে
একথা শুনিয়ে যায় বারবার:
‘কোরো না অহংকার।’
গাছটি ‘ধুত্তোর!’
বলে চেয়ে থাকে নির্নিমিখ, আর কোনো দেয় না উত্তর।
একদিন এক বদ্ধ মাতাল একটি দেশলাইয়ের কাঠি দিয়ে
দিলো দীর্ঘ সেই গাছের গোড়ায় আগুন জ্বালিয়ে।
সে-আগুন
ঝরালো গাছটির খুন
সারা বনে। লক্ষ লক্ষ দেশলাইয়ের কাঠি
যার কাঠ দিয়ে তৈরি করা যেতো অনায়াশেআর তার মাটি
যার জন্ম নিয়ে করতো গৌরব বারো মাস, মাত্র একটাই
দেশলাইয়ের কাঠি কি-সহজে করে দিলো তাকে ছাই!’
৩০.৮.২০১৪ মিলন মোড়, সিরাজগঞ্জ
মন্তব্য করুন