চৌরাস্তায় ওরা আমাকে করেছিল খুন
ছিন্নভিন্ন করেছিলো গোটা দেহ।
ধুলোর জায়নামাজ রক্তে ভিজিয়ে
মত্ত উল্লাসে দুষ্ট জিনের মতো নেঁচে উঠলো
ওদের আলখেল্লা
কিন্তু না, মুসা আল হাফিজকে
টুকরো টুকরো করে দিলেও
তার মদ্যপান শেষ হবে না, তার পানপাত্র
ছিনিয়ে নিতে পারবে না
কোনো দুঃশাসন!
যদি সে পানশালায় না যায়, তাহলে পৃথিবীর
নিঃশ্বাস থেমে যাবে
বাতাসে ধ্বণিত হবে কালের মর্সিয়া
নীলিমায় ছড়িয়ে পড়বে শোকের হাহাকার
মদের সুরাইটিকে তোমরা অবজ্ঞা করো না,
শ্বেত-কৃষ্ণ হায়েনারা
তোমাদের অবজ্ঞা করবে।
চাঁদের জ্যোৎস্নায়
ফরমালিন মিশিয়ে
শুরু হবে বহুজাতিক তেজারতি।
কবিও প্রসব করবে মুন্ডহীন উদভ্রান্ত জারজ ফলাফল
মস্তক গণনা হবে আদমশুমারিতে, কিন্তু
কোথাও মগজ থাকবে না
লক্ষ লক্ষ্ ভেড়ার পালের জন্য থাকবে না
একজনও বিশ্বস্থ রাখাল!
শুনো, আমি এক ছিন্নভিন্ন দেহমাত্র
যাকে চাইলে এখনই কবর দেয়া যায়
কিন্তু পানপাত্রে অমর আত্মা থৈ থৈ করে নাঁচছে!
তার উচ্ছাসে সেমার মাহফিলে মরন এসে
আত্মসমর্পণ করেছে
উদয়াস্ত দরখাস্ত করেছে বসার অনুমতি চেয়ে!
যদি না থাকে শরাবের মৌতাত
তাহলে আমার ত্রিভূবন ধুলোয় মিশে যাবে
হে প্রতারিত আত্মার অন্ধকার উৎপাত!
আমার সহস্র মরণেও মূঢ় অন্ধের কী বা আসে যায়?
সে কি জানে
আমি মরছি আর জীবিত হচ্ছি প্রত্যহ
এভাবেই ক্রমে ক্রমে জীবন-মৃত্যু
আমাকে রচনা করছে
না আমি প্রণয়ন করছি তাদের জীবন্ত প্রচ্ছদ!